পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী অনাহারে পথিপ্রান্তে মারা যাইত। তুমি যাহা করিয়াছ ভাই, তাহা একালে কেহ করে না। আমি তোমার কে ? তুমি ব্রাহ্মণ, আমি কায়স্থ । তোমার সঙ্গে এক স্কুলে পড়িয়াছিলাম, তুমি আমার স্বগ্রামবাসী---এই তা সম্পর্ক,-"এই ত বন্ধন ! কিন্তু এখন যে পুত্র পিতার ভার লয় না ; ছোট-ভাষ্টি অনাহারে সপরিবারে কষ্টে পাইলেও, ধনী, অবস্থাপন্ন বড়-ভাই তাহার মুখের দিকে চায় না। এই ভয়ানক সময়ে, এই হৃদয়হীন দেশে তুমি আমার জন্য যাহা করিয়াছ, আমার বাপ-ভাই থাকিলেও তঁহার এমন করিতেন। কি না, সন্দেহ । যাক, সে কথা আর বলিয়া কাজ নাই ; চিরজীবন যাহার গুণগান করিলেও ফুয়ায় না, জন্মজন্মান্তর যাহার দাসত্ব করিলেও ঋণশোধ হয় না, তাহার কথা আর এই ক্ষুদ্র পত্রে কি লিখিব ? এখন প্রধান কথা কি জান ? আমি অতঃপর কি করিব ? সুশীলা ও তাহার মাতা আমার পথ-চাহিয়া বসিয়া আছে। কিন্তু আমার মত হতভাগ্য পিতা, স্বামী তাহদের কি করিতে পারে সুশীলাই আমার প্রধান ভাবনার বিষয় । তাহার কি করা যায় ? সে ত এতদিন তোমার কাছে রহিয়াছে। তাহার জীবনকে কোন পথে চালিত করা যায়, তাহা কি তুমি [ २२°