পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী আর তুমি স্বামীজির কুহকে প’ড়ে তোমার ধর্ম্ম বিসৰ্জন দেবে, এ আমি কেমন ক’রে সহ্য করুব ? তাই তোমাকে সাবধান করে দেওয়া আমার কর্ত্তব্য ব’লে মনে হ’ল।” সুশীলা বলিল “বাবাজি, তোমার কথা ত আমি বুঝতে পাবুছি না। যে স্বামীজি আমাকে গঙ্গার গর্ভ থেকে বাঁচিয়েছেন, যিনি এতদিন আমাকে আশ্রয় দিয়ে রক্ষা করেছেন, যিনি আমাকে কন্যার মত দেখেন, যিনি আমাকে ব্রহ্মচারিণী হ’য়ে এই আশ্রমেই থাকতে আদেশ করেছেন, তঁর যে কোন কু-মতলব আছে, তা ত তার ব্যবহারে আমি মোটেই বুঝতে পারি নাই ।” আত্মানন্দ একটু হাসিয়া বলিল “তা বুঝতে তোমার অনেক বিলম্ব আছে সুশীলা ! আমাদের এই সন্ন্যাসী দলের মধ্যে কত চোর, কত অসাধু, কত লম্পট যে দ্বিতীয় সুযোগের অপেক্ষায় ব’সে আছে, তা তুমি কি ক’রে জানবে। আর ধারা এখন খুব নামজাদা সন্ন্যাসী ; যার স্বামী, পরমহংস, সরস্বতী প্রভৃতি নাম জাহির ক’রে দশজনের উপর প্রভুত্ব করছেন, বিলক্ষণ দশটাকা উপাৰ্জন করছেন ; পরম সাধু, জিতেন্দ্রিয়, পবিত্র-চরিত্র মহাত্মা ব’লে র্যারা খ্যাতিলাভ ক’রেছেন ; এই কাশীতেই তঁদের २७» }