অভাগী সতীশ কয়েকবার এপােশ ওপাশ করিয়া একটু পরেই ঘুমাইয়া পড়িল। দীনেশের আর ঘুম আসে না। এমন যে দ্রুতগামী পঞ্জাব-মেল, তাহাও যেন তাহার নিকট মৃদুগামী বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। এতদিন সে দিন-গণনা করিয়া আসিয়ছে। কত দিন সে তাহার সুশীলাকে দেখে নাই ; আজ সে তাহার জীবনের একমাত্র অবলম্বন সুশীলাকে দেখিতে যাইতেছে, তাহার মুখখানি দেখিয়া হৃদয়ের সকল জ্বালা জুড়াইতে যাইতেছে। গাড়ীখানি উড়িয়া যায় না কেন ? তখনই তাহাদিগকে সাজাহানপুর পৌছাইয়া দেয় না কেন ? দীনেশ অধীর হইয়া পড়িল ; একবার সে শয়ন করে, একবার উঠিয়া জানােলা দিয়া মুখ বাড়াইয়া দেখে, আবার শয়ন করে !! গাড়ী কিন্তু তখনও বৰ্দ্ধমানে পৌছে নাই ! গাড়ী যখন বৰ্দ্ধমানে পৌছিল, তখন সে শুনিতে পাইল, পার্শ্ববর্ত্তী তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে একজন গান করিতেছে। সে তখন জানাল দিয়া মুখ বাড়াইয়া, গানটি শুনিবার চেষ্টা করিল। গায়ক গায়িতেছে “রবে না দিন চিরদিন, সুদিন কুদিন, একদিন দিনের সন্ধ্যা হবে । २७७ }