পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী আজ আর কাতাকেও দয়া করিবে না, সে আজ একেবারে বজানিক্ষেপ করিবে । সতীশ দীনেশের দিকে চাহিয়া তেমনই কর্কশাস্বরে বলিল “দীনেশ, তোমার সে কলঙ্কিনী মেয়ের কথা ভুলিয়া যাও । সুশীলা বলিয়া তোমার কোন মেয়ে ছিল নানাই । তার কথা মন থেকে মুছে ফেল । যে আমাদের মুখের দিকে না চেয়ে, ধর্ম্মের দিকে না চেয়ে, ঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছে, সে আমাদের মেয়ে নয় । সে তোমার ঔরসে, আর এই দেবীর গর্ভে কখনও জন্মোনি-কখনও জন্মোনি । তার জন্য আবার কঁদিতে হবে। বাউদিদি ! তুমি ও কি কাৰ্বছ ? রাণী, তুই কঁদেছিস কেন ? হিন্দু গৃহস্থের বউ মেয়ে হ’য়ে তোমরা একটা কলঙ্কিনী, একটা ব্যভিচারিণীর জন্য কাতর হচ্ছে! বউদিদি ! তুমিই না একদিন বলেছিলে, তোমার গর্ভে অসতী মেয়ে জন্মাতে পারে না ! তোমার মেয়ে ম’বে গেছে। তবে আর আজ এমন অধীর হচ্ছে কেন ?” সতীশ এক নিশ্বাসে এতগুলি কথা বলিয়া ক্লান্ত হইয়া পড়িল । এমন কর্কশ। কথা বলা যে তাহার স্বভাববিরূদ্ধ ; সে যে কোন দিন রাগ করিয়া কোন কথা বলে নাই ! আজি সে এমন ভাবে কথা বলিয়া একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল ; ফরাসের উপর মাথায় হাত দিয়া [ ७०३