পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী বলিল “না, সুশীলা এতদিন মরে নাই, আজ সে মরতে এসেছে। আমরা আজ তাকে এই শ্মশানে নিয়ে এসেছি। কোচম্যান, গাড়ী ফিরাও !” এই বলিয়া তিনকড়ি রাগে ফুলিতে ফুলিতে সিঁড়ি দিয়া নামিতে গেল। সতীশ তৎক্ষণাৎ তাহাকে চাপিয়া ধরিয়া বলিল ‘তিনকড়ি বাৰু, ব্যাপার ত কিছুই বুঝতে পারছি না।” তিনকড়ি তখন রাগিয়া গিয়াছিল ; সে বলিল “আর কাউকে কিছু বুঝতে হবে। না। সুশীলা মরুতে বসেছে। তার বড় ইচ্ছা হয়েছিল যে, একবার জন্মশোধ বাপ-মাকে দেখে। তাই সেই মারা-মেয়েকে বুকে ক’রে নিয়ে আমরা ভাইবোনে এখানে এসেছিলাম। এখন দেখছি সুশীলা ত মরে গিয়েছে। আর কেন, আমরা অভাগীকে নিয়ে যাই । গাছতলায় তার প্রাণ বেরিয়ে যাক, সেও ভাল-এখানে নয়।” এই বলিয়া সে সতীশের হাত ছাড়াইয়া ছুটিয়া গাড়ীর কাছে গেল ; তাহার পর পাগলের মত চীৎকার করিয়া বলিল “সুশীলা, মা আমার, তোর মা মরে গেছে-তোর বাবা নেই। ও যাদের দেখছিস, ওরা ভূতপ্রেত-ওরা প্রেত। চলমা, চল অভাগী, তোকে এরা চেনে না।--তুই 9o q