পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী কয়েকদিন যাইতে না। যাইতেই সুশীলার বড়মাসীমা তাহার এই পরিবর্তন বুঝিতে পারিলেন। সুশীলা যে ধীরে ধীরে পাপের পথে, প্রলোভনের পথে, সর্ব্বনাশের পথে অগ্রসর হইতেছে, তাহ। তিনি বেশ বুঝিতে পারিলেন । তাই একদিন তিনি সুশীলাকে সাবধান করিবার জন্য তাহাকে বলিলেন -“দেখ সুশীলা, বৈঠকখানায় নানারকমের ছেলেপিলে। আসে ; তারা কতরকম ভাল মন্দ গান-বাজনা করে ; কতরকম কথাবার্ত্তা বলে; তা”কি মেয়েদের শুনতে আছে ? তোমার এখন বুদ্ধি হ’য়েছে, তুমি ভাল মন্দ সবই বুঝতে পার ; নিজের পোড়া-অদৃষ্টের কথাও তুমি বুঝতে পেরেছ। তোমার কি ওদিকে মন দিতে আছে! মনে যদি একটু কলঙ্কের দাগ পড়ে, তা’ হ’লে তা বিধবার ইহকাল পরকাল সব গেল ; তাহ’লে যে নরকেও স্থান হবে না । ছি! মা, তুমি আর বৈঠকখানার দিকে যেও না। আমি ওদের ব’লে দেব, ওরা আগের মত দোকান থেকেই চা কিনে এনে খাবে ; আমরা আর চা তৈরী ক’রে দিতে পাৱব না ; তার জন্য যে দু’চার পয়সা বেশী লাগবে, তা আমিই দেব। তুমি আর ওদের চা তৈরী ক’রে দিও না। সন্ধ্যে লাগলেই উপরে లిసి }