পাতা:অভিমানিনী.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»७२ ।। অভিমানিনী পুরাতন কাঠের তক্তপোষ কয়েকখানা ইটের উপর বসান। তাহার উপর ' একথানা মাদুর, একটা ছোড়া তোষক ও একটা বালিশ পড়িয়া আছে। তক্তপােষের নীচে থানকতক বাসন বিশৃঙ্খলভাবে স্থাপিত । ঘরের একপাশে একটা তোরঙ্গ। একটা খুঁটির গায়ে একটা ক্যাম্বিসের বাগ বুলিতেছে। 姆 铃 নীহারের স্বামী গাড়োয়ানকে ভাড়া চুকাইয়া দিলে গাড়োয়ান চলিয়া গেল। নীহার অবসন্নভাবে তক্তপোষাখানার একপ্রান্তে বসিয়া পড়িল । গাড়ীখানার চলিয়া যাওয়ার শব্দের সঙ্গে সঙ্গে তাহার সুখ, সৌভাগ্য, আহলাদ সবই যেন চলিয়া গেল। কয়েদী যেন জগৎ ছাড়িয়া কারাগারে প্রবেশ করিল। এ কয়দিন নীহার নিজের মনের সঙ্গে অবিরত সংগ্রাম করিয়াছে কিন্তু এই গৃহে ঢুকিয়া তার পরাজয় মানিবার উপক্রম হইল। কর্ত্তব্যের আহবানে সে জীবনের সমস্ত সুখের আশা পরিত্যাগ করিয়া আসিয়াছিল । সে যদি শিক্ষিতা না হইত। তাহা হইলে বোধ হয় এতটা করা তাহার পক্ষে সম্ভবপর হইত না। কিন্তু শিক্ষিত হওয়াতে তাহার ক্লেশ ও গুরুতর হইয়াছিল। সাধারণ অশিক্ষিতা হিন্দুকন্যা এতকাল পরে সহসা স্বামী পাইয়া হয়ত সহজভাবে স্বামীগৃহে নিজ স্থান অধিকার করিয়া লইতে পারিত । কিন্তু নীহারের পক্ষে তাহা সম্ভব নহে । সে যেরূপে শিক্ষিত হইয়া যেরূপ জীবনযাপন করিয়া আসিয়াছে, তাহাতে eODDB DBDDBB BBD DDB BBBBD D DD DuDuuBK BBBLDuD কাহাকেও একেবারে প্রাণমন উৎসর্গ করা তাহার পক্ষে অসম্ভব। হিন্দুর গুচে বালিকা বয়সে বধু হইয়া স্বামীর গৃহে আসিয়া ধীরে ধীরে শত ক্ষুদ্র ঘটনায়, মাদর যত্ন, সোহাগে যে বঙ্গবন্ধু স্বামীকে আপনার বলিয়া চিনিতে পারে, নীচারের অদৃষ্ট তাহাও ঘটবার উপায় নাই। যে বয়সে 'বঙ্গবন্ধু প্রায় গৃহিণী হইয়া পড়ে সেই বয়সে সে স্বামীর গৃহে আসিল। আর |