পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to অভিযাত্রিক তৈরী মহারাজের নতুন প্রাসাদের চেয়ে । কুঞ্জবন প্যালেসের একটা ঘরে অনেক প্রাচীন চিত্র, হাতীর দাতের শিল্প, ত্রিপুরা রাজবংশের পূর্বপুরুষদের বড বড় ছবি ইত্যাদি আছে—এসব খুটিনাটি করে দেখতে অনেক • 6व् | একটি হাতীর র্দাতের ক্ষুদ্র নারীমূর্তি আমার কি ভালোই লেগেছিল ? চার পাঁচ ইঞ্চির বেশি বড় নয়, পুরানো হাতীর দাত, হলদে হযে গিয়েচে— কি কমনীযতা আব্ব জীবন্ত লাবণ্য মূর্তিটির সারা গায়ে । বার বার চেয়ে দেখত ইচ্ছে হয় । শুনলুম এক সময়ে এখানে হাতীর দাতেব জিনিসপত্রের ভালো শিল্পী ছিল। এই ক্ষুদ্র মূর্তিটি কোন অজ্ঞাত কারিগরের LYLDBD DBBDD DBgDS DBD BDD SBDD KJD BDEBD KKSBBD করতে ব্যগ্র হয়ে পড়ে । প্রাসাদের ছাদ থেকে সুর্যস্ত দেখে মনে হ’ল এমন একটা সুর্যাস্ত কতকাল দেখিনি ! গোটা আকাশটা লাল হয়ে এল, যেন পশ্চিম দিগন্তে লেগেচে আগুন, তারই ছোয়াচে রক্তশিখা সারা আকাশের হালকা সাদা মেঘে আগুন ধবিয়েচে, প্রকাণ্ড আগুনেব গ্লোবে বা মতো সুষটা কুঞ্জবন প্রাসাদের পিছনকার ঢেউ খেলানো অনুচ্চ শৈলমাল ও সবুজ অরণ্যভূমিব মধ্যে ডুবে যাচ্চে । যতদূর চোখ যায়, শুধু উঁচুনিচু পাহাড় আর উপত্যক, উপত্যক। আর পাহাড ; ঘনবনানীমণ্ডিত রাঙা সৰু পথটি বনেব মধ্যে একেবেঁকে পাহাডের ওপর একবার উঠে একবার নেমে, কতদূর চলে গিয়ে ওদিকের দিগন্তে মিশে অদৃশ্য হয়েচে । একদিন আমি একা এই পথে অনেকদূর গিয়েচি, সেও বিকেল বেলা । কুঞ্জবন প্যালেসের চুড়া আর দেখা যায় না, চারিপাশে শুধু বন আর *ांट्रांऊं ।