পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or অভিযাত্রিক সেইদিন রাত্রে ফিরে এসে তিনি তঁর জীবন সম্বন্ধে কিছু কিছু আমায় বললেন । শুনে আমার পূর্বের অনুমান আরও দৃঢ় হ’ল, লোকটি পয়লা নম্বরের ভবঘুরেও বটে, স্বপ্নালুও বটে । তখন আমার অটোগ্রাফ নেবার বাতিক ছিল-বললুম তাকে আমার অটোগ্রাফের খাতায় কিছু লিখে দিতে, আজিও আমার কাছে তার লেখা আছে-নামটি প্রকাশ করবার অনুমতি তঁর কাছ থেকে আমি নিই নি, কাজেই নাম এখানে দিলাম না । তবে আমার মনে হয় যে প্রকাশ করলেও কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি ছিল না-আজকাল কেউ তার নাম জানে না । আগরপাড়া থেকে এলুম। ব্রাহ্মণবেডিয়া । এখানে যে বৃদ্ধ ভদ্রলোকের বাড়িতে উঠি, তিনি ওখানকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন, কয়েক বৎসর পূর্বে সংবাদপত্রে তঁর মৃত্যুসংবাদ জেনেছিলাম । আমি তার ওখানে গিয়ে পৌছুই বিকেল বেলা । সন্ধ্যার কিছু আগে তিনি বললেন-আপনি ব্রাহ্মণ, আমার বাড়িতে রাধুনী ঠাকুর নেই, থআপনাকে নিজে কিন্তু রাধাতে হবে । আমাদের রান্না তো আপনাকে cथtड निgड ब्रेिcन আমার কোনো আপত্তি ছিল না। অবিশ্যি-কিন্তু তেঁাদের দিক থেকে छेछ । সেটা বুঝেই আমি রাধতে রাজি হয়ে গেলুম। সন্ধ্যার সময় চাকর এসে আমায় বাডির মধ্যে রান্নাঘরে ডেকে নিয়ে গেল। আয়োজন দেখে তো আমার চক্ষুস্থির । তিন চার রকমের মাছ, কপি, বেগুন, শাক, আলু আরও কত কি পৃথক পৃথক থালায় কোটা । হলুদ বাটা, জিরো বাটা, ছোট ছোট পাত্রে সাজানো । একবার জীবনে নিজে রান্না করে খাওয়ার প্রয়োজন উপস্থিত হয়েছিল।