পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अध्यिाकि এখানে আমার মনে পড়লো সন্দ্বীপের তালীবন-শ্যাম উপকুল, আয় আওরঙ্গজেবপুরের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সেই বনভূমি । আমার বন্ধু প্রতিবাদ করে বললেন-এ তোমার গা-জুরি কথা হ’ল । --শোনো, একটা কথা আছে । দু ধরনের লোকের মধ্যে-ধারা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ভালোবাসে আর যারা ভালোবাসে না-এক দলের চোখ আছে, অন্য দলের নেই । চক্ষুষ্মান ও অন্ধ দুদিলে তুলনা হয় না, এখানে বিচার-হবে চক্ষুন্মান লোক বদ্ধ ঘরে কবিতা পড়ে যে আনন্দ পায়, সেই ধরনের আনন্দ সে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে পায় কি না । সুতরাং ভেবে দেখ এ নিয়ে তর্ক হ’তে পারে কি ? সম্মুখে মেঘনা নদীর বুকে জ্যোৎস্নারাশি এক মায়াপুরীর সৃষ্টি করেচে। আমার মনে হ’ল শুধু এই দৃশ্য প্রতিদিন দেখবার সুযোগ পাবো বলে স্কুলমাস্টারি নিয়ে এখানে থেকে যেতে রাজি আছি । এক বছর ধরে এই দৃশ্য রোজ দেখলে মনের আয়ু বেড়ে যায়। আমার বন্ধু বললেন-আমার আরও ভালো লাগে না। এতদুরে আছি BBDBDSDJJY DBEL uuSDBDBDBD DLDB D EDDJS -আমার মনে হয় এ তোমার ভুল। দুরে থাকা একটা advantage, প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবার পক্ষে। --কি রকম ? -দেশ থেকে দুরে যত যাবে, তত landscape-এর প্রকৃতি তোমার কাছে রোমান্টিক হয়ে উঠবে। ভ্রমণকারী ও oxplorerরা এটা ভালো বুঝতে পারে। বরফ ইংলণ্ডে ও জমে শীতকালে, তবে নর্থ পোলের বরফ মনে অন্য রকম ভাব জাগায় । একই বঁাশবন দেশে খালের ধারে দেখাচে অথচ ইরাবতীর পাহাড়ী gorge-এর ধারে সেই একই বঁাশবন দেখেবুঝতে পারবে কি ভীষণ তফাৎ। । এবারকার ভ্রমণে আমি তা ভালো বুঝতে