পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yap अक्विधिक একজন গ্রাম্যলোককে জিগ্যেস করলুম, ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম কোথায় জানো ? সে বললে, নেহি জানতা বাবুজি । সুতরাং মনে হ’ল জায়গাটি নিতান্ত কাছে নয় । কাছাকাছি হ’লে এয়া নিশ্চয়ই জানতো । তবে সামনের ওই পাহাড়শ্রেণীর মধ্যে ছাড়া আর গুহা কোথায় থাকতে পারে ? নিকটে আর কোথাও তেমন বড় कांक्षांg cमई । স্টেশন থেকে একটা রাস্তা বেরিয়ে দূরের পাহাডের দিকে চলেচে, আমরা দুজনে সেই পথেই চললুম। মাঝে মাঝে বিহারী পল্লীগ্রাম, খোলার ঘর, ফনিমনসার কোপ, মহিষের দল মাঠে চরচে, দড়িব চারপাই পেতে গ্রাম্য লোকের জটিল করাচে ঘরের উঠোনে, অত্যন্ত ময়লা ছাপাশাভী পরনে গৃহস্থবধুরা ইদারা থেকে জল তুলচে । আবার ফাক মাঠ, জিনহীন পথ, মাঝে মাঝে গামোৰ ক্ষেত । পাহান্ডশ্রেণীর কাছে আসবার নামও নেই, স্টেশন থেকে যতদূরে দেখাচ্ছিল এখনও ঠিক তত দূরেই মনে হচ্চে ! হেমেন বললে, পাহাড বোধ হচ্চে অনেক দূরে -চলো, যখন বেরিয়েচি, যেতেই হবে। --সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরতে হবে মনে আছে ? --যদি ট্রেন না ধরতে পারি, কোথাও থাকা যাবে। এই সব গ্রামে। জায়গা মিলবেই একটা রাতের জন্যে । বেলা বেশ চন্ডেচে । একটা ইদারার পাড়ে আমরা দাড়ালুম জল খাবার জন্যে । একটি মেয়ে আমাদের হাতে জল ঢেলে দিলে । আমরা তাকে পয়সা দিতে গেলুম, সে নিলে না । আরও একখানা গ্রাম ছাড়ালুম। বিহার অঞ্চলের গ্রামে বা মাঠে,