পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিষাত্রিক Atr আমরা জিগ্যেস করলুম-গ্রামে পাঠশালা আছে ? বৃদ্ধ বললে-এ টোলায় নেই-সহদেবটোলায় আছে। প্রাইমারী স্কুল । --ছেলেরা সব যায়। সেখানে ? -সবাই যায় না। বাবুজি, বড় হয়ে গেলে ছেলেরা গোরু মহিষ চরায়, ক্ষেতখামারে কাজ করে-লেখাপড়া করলে কি সকলের চলে বাবুজি ? বৃদ্ধ আমাদের হাতমুখ ধোবার জল নিয়ে এল। জিগ্যেস করে জানা গেল। ইদারার জল । তবুও অনেকটা ভালো। বস্তির মাঝখানে যে ছোট্ট পুকুর দেখে এসেচি তার জল হ’লে আমাদের জল ব্যবহার স্থগিত rரு த*கு --আপনাবা আটা পাবেন, না ছাতু ? --যা আপনাদের সুবিধে হয় । তবে আটাই বোধহয়-- --আচ্ছা, আচ্ছা বাবুজি । আপনারা চুপ করে বসে বিশ্রাম করুন-আমি সব বন্দোবস্ত করে দিচ্চি। ওবা আমাদের জন্যে রাধবার বন্দোবস্তু করে দিলে । সে এক-হিসেবে ভালো বলেই মনে হ’ল আমাদেব কাছে। নিজেব চোখে জিনিসগুলো দেখে ধুয়ে বেছে তবুও নিতে পারা যাবে । এদেব আতিথ্য অত্যন্ত আন্তরিক ও উদার-এদের সারল্য অন্তরকে স্পর্শ না করে পাবে না-কে বল মনে হয়, যদি কেউ এদের স্বাস্থ্যের বিধিনিসে ধগুলো বলে দেওয়া ব থাকতো ! আমরা পাশের একটা ছোট চালায় বান্না চডালুম। গ্রামের লোকে অনেকে এসে উকিঝুকি দিয়ে দেখতে লাগলে আমাদের রান্না । আলু ও লাউয়ের তরকারি। আর আটার রুটি। চাটনির জন্যে ছিল চুকে পালং কিন্তু আমরা চাটনি কি করে রাধতে হয় জানিনে। হেমেন বললে তার অনেক হাঙ্গাম, সুতরাং চাটনি রান্না বন্ধ রইল । দুজনে পরামর্শ কয়ে