পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sts अद्धियांकि অষ্ঠিকািট লাউয়ের তরকারি নামালুম। এদের কাছে ধরা না পড়ি যে, अfईब्र! ब्रांड़ों छांमेिं न । কথাবার্তা চললে খাওয়া-দাওয়ার পরে । এই অঞ্চলের পল্পীজীবনের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা গেল ওদের কাছ থেকে । গ্রামের সব লোকই চাষী-গম ও ভুট্টা এই দুটি প্রধান ফসল। অধিবাসীরা সবাই হিন্দু, তার মধ্যে অধিকাংশ দোশাদ অর্থাৎ মেথর, বাকি সকলে কুর্মি-একঘর রাজপুত । লেখাপড়া বিশেষ কেউ কিছু জানে না, ব্যবসা-বাণিজ্য কেউ করে না, বেশিদূর কেউ যায়নি কখনো গ্রাম ছেড়ে । আমাদের গৃহস্বামী ওদের মধ্যে কিছু এলেমদার-জমিজমা-সংক্রান্ত মামলাতে সে গ্রামসুদ্ধ লোকের পরামর্শদাতা ও দলিল লেখক । মামলা-সংক্রান্ত ব্যাপারে সে বারিকয়েক মুঙ্গের ও পাটনা গিয়েচে । এদের প্রধান খাদ্য আটার রুটি ও মকাইয়ের ছাতু। তরকারির মধ্যে জন্মায় রামতরুই, পটল, বেগুন, কয়েকপ্রকারের শাক, সকীরকন্দ আলু। ‘গোল আলু ও কপি এ অঞ্চলে জন্মায় না-ওসব দুমুল্য সৌখীন তরকারি এয়া নাকি তত পছন্দও করে না । প্লেগ গত দুতিন বৎসর দেখা দেয়নি।--তার বদলে দেখা দিয়েছিল কলেরা । অনেক লোক মরেছিল । আমরা বললুম-ডাক্তার নেই এখানে ? --না। বাবু, কিউল থেকে আনতে হয়-ত অতি পয়সা খরচ করে। মবাই তো পারে না। -কলেরার সময় কি করো ? -গতিবার গভর্নমেণ্ট থেকে একজন ডাক্তার পাঠিয়েছিল। এই ধরনের বহু অশিক্ষিত পল্লী নিয়ে বিহার ও বাংলা । শহরে বাস করে জাতির দুঃখদুর্দশ জানা সম্ভব নয়। বাংলা ও বিহারের বহুস্থান এখনও