পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sus অভিযাত্রিক মোহাস্তজী প্রকৃতই অতি সদাশয় ব্যক্তি এবং বালকের মতো সরল ৮ তার ধারণা এ ধরনের একটা সৎকাজের কথায় যে-কেউ টাকা দিতে রাজি হবে। শুধু মুখের কথা খসাবার অপেক্ষা মাত্র । তঁর সরলতা দেখে আমার হাসি পেল। বললুম-মোহান্তজী, আপনি একবার ভাগলপুরে আসুন না, আপনাকে দু-এক জায়গায় পাঠিয়ে দেবো, আপনি নিজেই বুঝবেন কে কেমন দিচ্চে । फैन धैर्मुद्ध्ब् ि। চারধারে ফাকা মাঠ, মাঝে মাঝে ছোট ছোট ঢিবির ওপর ক্ষুদ্র বন, দূরে দূরে সিসীম গাছ-বিহারের সিসম গাছ একদিকে একটু হেলে থাকেঅনেকগুলো থাকে এক সারিতে। যাকে শিশু গাছ বলে, সে সম্পূর্ণ আলাদা গাছ, যদি-চ সিসমা গাছের কাঠেও বেশ মজবুত তক্ত হয় শুনেচি । মোহাস্তজী বললেন--”বাবু, মনে থাকবে আমার কথা ? -খুব থাকবে, তবে আপনি নিজে না এলে কিছু করতে পারবে না। হঠাৎ আমায় মোহান্ত জীী বললেন-আসুন, আপনার সঙ্গে পাডেজীর আলাপ করিয়ে দিই । মাঠের মধ্যে এক জায়গায় অনেকগুলো চালাঘর দেখা গেল। কাছাকাছি অন্য কোনো বাডি নেই। দূরে নিকটে অনেকগুলি সিসীম গাছেব সাগর । আমি একটু ইতস্তত করলাম যেতে, কারণ স্টেশনে গিয়ে আমায় ট্রেন ধরতে হবে । মোহান্তৰ্জী আমাব কোনো। আপত্তি শুনলেন না-পরে অবিশ্যি বুঝলাম”। তিনি আমায় পডেজীর আশ্রমে রাত্রে রাখবােব জন্যে সেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন এবং সেই উদ্দেশ্যেই আমার সঙ্গে সঙ্গে ও আসছিলেন । মোহাস্তজী বাডির কাছে গিয়ে ডাক দিতেই একজন লোক বার হয়ে তঁকে হাসিমুখে প্রণাম করে বললে-আসুন বাবাজী, हेनेि ८क ि