পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sol অভিযান্ত্রিক মোহান্তজীও কৌতুকপূর্ণ হয়ে বললেন--কি বাবুজি, কি দেখলেন ? পাড়োজী বললে-বাবু, ও সব কলসীতে ঘোল বুঝতে পারলেন না ? এত ঘোলের কলসী একত্র কখনো জীবনে দেখিনি । কি করে বুঝতে পারবো ? কিন্তু এত ঘোল এল কোথা থেকে ? ওদের ঘরের দাওয়ায় আমাদের জন্যে জলচৌকি পেতে দিলে শ্রীরাম পাড়ে। আমরা বসলুম--তারপরে মোহাস্তজীর মুখে ব্যাপারটা শোনা গেল, এটা মাথনের ও ঘিয়ের কারখানা । দুধ অত্যন্ত সন্তা এসব অঞ্চলে, টাকায় ষোলসের পর্যন্ত বিক্রী হতে দেখোঁচি, মহিষের দুধ বরং একটু চড়া দরে বিক্রী হয়, কারণ ঘি করবার জন্যে মহিষের দুধ গোয়ালারা কেনে, কিন্তু গোরুর দুধের দাম নেই এখানেগোরুর দুধের মাখন ও ঘি করবার রেওয়াজ নেই। এখানে । শ্রীীরাম পাড়ের বাড়ি ছাপরা জেলায় । সে এক মাখন-তোলা কল নিয়ে এসে এই মাঠের মধ্যে প্রথম একখানা চালাঘর তুলে বসে-সে। আজি এগারো বছর পূর্বের কথা । এই এগারে বছরের মধ্যে শ্রীব্রামের ব্যবসা এত বড় হয়ে উঠেচে যে ওকে মাঠের মধ্যে অনেকখানি জমি নিয়ে ঘিরে বড় বড় দুখানা আটচালা ঘর, আর ছোট ছোট চালাঘর অনেকগুলি করতে হ’ল, মাখন-তোলা কল আরও দু’টো এনেচে । তার ব্যবসা খুব জোর চলেচে । আমার বড় ভালো লাগলো! মোহান্তজীর এই গল্প । শ্রী রাম পাডেকে আমি - যেন নতুন চোখে দেখলুম। লোকটা খুব নিরীহ ধরনের, মুখে বেশি কথা বলে না-বোধহয় কথা বলে না বলেই কাজ বেশি করে । --আপনার এখানে কত দুধ লাগে রোজ ? --তার কিছু ঠিক নেই বাবুজি-পনেরো মণ দুধের মাখন সাধারণত