পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo অভিযান্ত্রিক পাওয়া যায় সর্বত্র, অনেক খুঁজেও খাটি ওরিজিন্ন্যাল টাইপ বার করা যায় না। শহরে তো যায়ই না, শহর থেকে সুদূরে, নিভৃত পল্লীঅঞ্চলেও বড় একটা দেখা যায় না । তবে বাংলার বাইরে, যেখানে ইউনিভারসিটি, খবরের কাগজ, রেডিও প্রভৃতির উৎপাত নেই, কিংবা শিক্ষিত লোকের যাতায়াত কম, এমন আরণ্য অঞ্চলে--নিকটে যেখানে রেলস্টেশন বা মোটর বাসের চলাচলের পথ নেই-সেখানে দু-একটি অতি চমৎকার ছাচের মানুষ দেখোঁচি । এদের আবিষ্কারের আনন্দ আমার কাছে একটা নতুন দেশ আবিষ্কারের আনন্দের সঙ্গে সমান । মোহান্ত জীী অনেকটা সেই ধরনের মানুষ । তিনি রাত্রে মন্দিরে ফিরে যাবার আগে আমায় বিশেষ অনুরোধ করলেন আমি যেন আমার ভাগলপুরস্থ বন্ধুবান্ধবকে বলে তঁর মন্দির মেরামতের ও মন্দিরের আয় বাডিাবার একটি ব্যবস্থা করে দিই । অনেকখানি সরল আশা-ভরসা তঁর চোখে-মুখে-বহু দূর্বকালের ছা যা তার জীবনে একটি এমন স্নিগ্ধ পরিবেশ রচনা করেচে।--তা থেকে হুশিয়ায় ও ষ্টি সাবদুরন্তু বর্তমানে তিনি কোনোদিনই যেন পৌছতে পারবেন না, কোনোদিনই বুঝবেন না। এর কুটিলতা, আর আত্মস্বার্থবোধ । আমি বললুম-মোহান্ত জী, আপনি চলে আসুন না ভাগলপুরে ? --আপনি যেতে বললেই যাবো, টাকা একসঙ্গে জড় হ’লে নিয়ে অ্যাসব গিয়ে । তারপর আমায় একান্ত চুপিচুপি বললেন---এই পাডেজী আমায় বড় সাহায্য করে --কি রকম ? --ভদ্রলোক এলে ওর এখানে রাখি, ও আমাকেও মাঝে মাঝে রাজেন্তু