পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক ত্রিশের মধ্যে, রং মিশকালো, মাথায় লম্বা লম্ব। বাবরি চুলে কেয়ারি কয়ে টেরি কাটা, গায়ে শাদা ফুলদার আদির পাঞ্জাবি, গলায় রঙীন রুমাল।” বঁধী-আর সকলের চেয়ে যা আমাদের চোখে বিস্ময়কর ঠেকালো, তা হচ্চে এই যে, এই দিন-দুপুরে লোকটাক্স পকেটে একটা পাঁচ ব্যাটারিয়া প্রকাণ্ড টার্চ। বাঙালী নয় যে, তা বুঝতে এতটুকু দেরি হয় না। অম্বিক বললে-লোকটাকে কিসের মতো দেখাচ্চে বলে তো ? ঠিক যেন যাত্রাদলের বড় কেষ্ট ঠাকুর, মাথায় চােচর চিকুর, মায় বঁাশিটা পর্যন্ত হুবহু-না ? --ডেকে নাম জিগ্যেস কর না ? কিছু পরেই আমরা অতিথিশালার ম্যানেজারের কাছে যুবকটির পরিচয় পেলুম। সে রাজার শুষ্ঠালক, এখানেই সামান্য কিছু কাজ করে রাজ-স্টেটে, বেশ আমুদে লোক।---আর নাকি খুব ভালো নাচতে জানে। আমরা যুবকটির সঙ্গে আলাপ করলাম। আমাদের খুব ভালো লাগলো লোকটিকে । লেখাপড়া বিশেষ কিছু জানে না, কিন্তু বেশ বুদ্ধিমান যে, তা কথাবার্তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় । আমি বললাম।---আপনার পৈতৃক দেশ কোথায় ? --রাজ খর্সাওন-বি, এন, আর-এ-তবে এখানেই আছি আজ দশ বছর । ---এই বনের মধ্যে বেশ ভালো লাগে আপনার ? -খুব শিকার মেলে। কিনা ! আপনারা থেকে যান, ভালুক শিকার 夺弧r5卒托夺时拉 --ভালুক খুব আছে নাকি ? -এই যে বন দেখচোন, ভালুক আয় সম্বর হরিণ এত আছে যে অনেক সময় দিনমানেও লছমীপুর গ্রামের মধ্যে ছটুকে এসে পড়ে। আপনায়া