পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক Str -এইবার চলো বেরিয়ে পড ষাক। বেলা দুটো বাজে, অত বড বন পার হতে হবে তো ! -আমি জেলাবোর্ডের রাস্তা দিয়ে যাবার কথা বলছিলুম--নিশ্চয়ই তুমি বনেব কথায় ভয় পেয়ে গিয়েচ-না ? --রাণীমা বলছিলেন বনে অনেক রকম বিপদ আছে। তবে তুমি না। ছাডো, অগত্যা বনের পথেই যেতে হয় । লছমীপুর ছেডে আমরা খানিকটা চড়াই পথে উঠেই হঠাৎ একেবারে জঙ্গলের মধ্যে এসে পডলাম । জঙ্গল খুব নিবিড নয়, প্রধানত কেঁদ, শাল ও পিয়াল গাছ বেশি বনের গাছের মধ্যে । কোপ জিনিসটা বিহারে কোথাও দেখিনি এই জঙ্গল ছাড । শরতের শেষ, অনেক রকম বনের ফুল ফুটে আছে, অধিকাংশই অজানা-বাংলা দেশের পরিচিত বনফুল একটাও চোখে পড়লো না কেবল শিউলি ফুল ছাড। দু-একটা ছাতিম গাছও দেখা গেল। তবে তাদের ९२]] ब्रिद्धारुङ <कभ ! বনের মধ্যে পায়ে চলার একটা পথ কিছু দূব পর্যন্ত পাওয়া গেল। হঠাৎ এক জায়গায় গিয়ে পথটা তিনটি পথে ভাগ হয়ে তিন দিকে চলে যাওয়াতে আমরা প্রমাদ গনলাম। সঙ্গে গাইড নেওয়া যে কেন উচিত ছিল, তখন খুব ভালো বুঝলাম। আমাদের চারিধারে শুধু গাছপালা আর বনঝোপ-শুধু বনস্পতিব্ব দল আকাশের দিকে মাথা তুলে দাডিয়ে—আমাদের মাথার ওপর বনগাছের ফঁাকে ফঁাকে শরতের নীল আকাশ । কোনো লোকালয় নেই, একটা লোক নেই যে তাকে জিগ্যেস করি পথের কথা । মনে একটা অদ্ভুত আনন্দ এল। হঠাৎ কোথা থেকে । ঘরে বসে সে আনন্দ কোনোদিন কখনো পাওয়া যায় না । অম্বিকাও দেখলুম পথের নেশায় মাতাল হয়ে উঠেচে। ও বললে-চলো চোখ বুজে