পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为鬣 অভিযান্ত্রিক --মেঘের মধ্যে বলে চোখে ধাঁধা লেগে অমনি হচে । মেঘ সরে গেলে অত দুর বলে মনে হবে না। BD LLDBDBSDD S BBD KBDD Bt SKTKBDS gLLDS SO হয়েচে যে পায়ে দলে যাবার সময় একটা একটানা মচ মচ শব্দ বহুক্ষণ ধরে শুনাচি । এদিকে বেলা বেশ পড়ে এসেচে, রোদ রাঙা হয়ে বড় বড় কেঁদ-গাছের মগডালে লেগেচে । এ জঙ্গলটাতে আবার বন্য বঁাশ, খয়ের ও বহেড়া গাছ খুব বেশি। সন্ধ্যা তো হয়ে এল, যদি জঙ্গল শেষ না হয় তবে কি করা যাবে সে বিষয়ে আমরা আগে থেকে পরামর্শ করলাম । অম্বিক বললে, গাছে উঠে। রাত কাটানো যাবে, সেই যে-কথা আগে বলেছিলুম। --তা। যদি উঠতে হয় তবে সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় নিতে হবে সেখানে, অন্ধকার হ’লে এ বনে আর এক পা-ও চলা উচিত হবে না । অম্বিকারও তাই মত। লছমীপুরের জঙ্গলে ভালুক ও বাঘ যথেষ্ট আছে ভাগলপুরে থাকতে শুনে এসোচি । বন্দুক ও উপযুক্ত গাইড না নিয়ে বনের মধ্যে যাওয়াই উচিত নয়, একথা আমাদের সবাই বলেছিলেন- এমন কি রাণী-সাহেবা পর্যন্ত । অমর কারো কথা না শুনে যখন এসেচি, তখন এর আনুষঙ্গিক বিপদের জন্যেও আমাদের তৈরী থাকতে হবে বৈকি । সন্ধ্যা হবার আগে দেখা গেল। পথটা উৎরাইয়ের দিকে নামচে । আমরা অনেকদূরে নেমে এলুম, ক্রমশ একটা পাহাড়ী ঝরনা আমাদের পথের ওপর কুলুকুলু রবে চলেচে রাশি রাশি সুড়ির বাধা অগ্রাহ করে। ঝরনা পার হয়ে আবার একটা চড়াইয়ের পথ, খয়ের ও বহেড়ার জঙ্গলও পূর্ববৎ নিবিড়। সম্বর হরিণ নাকি এই জঙ্গলে খুব বেশি, তারা মানুষ দেখলে তেড়ে এসে শিঙ দিয়ে গুতিয়ে মেরে ফেলে দেয় । এ পর্যন্ত দু-একটা খেকশিয়াল