পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিষাত্রিক খারাপ ঘিয়ের সঙ্গে মেশায়--তারপর টিন-বন্দী করে বাজারে ছাভে । শহর বাজারে সেই জিনিস ভয়সা ঘি বলে চলে । খাটি ভয়সা ঘি কোথা থেকে আপনার বাজারে পাবেন ? রাত্রে সুনিদ্রা হ’ল, শরীর দুজনেরই ছিল খুব ক্লান্ত । একবার মাঝরাত্রে উঠে বাংলোর বাইরে এসে চেয়ে দেখলুম-দূরে লছমীপুরের জঙ্গলের সীমারেখা আলো-আঁধারে অদ্ভুত দেখাচ্চে। আকাশে বৃহস্পতি ও শনি এক সরলরেখায় অবস্থিত ; জ্বলজ্বল করচে বৃহস্পতি, তার নিচে কিছু দূরেই শনি মিটমিট করচে । বিশাল মাঠের সর্বত্র বড় বড় শাল ও মহুয়া ছডিয়ে আছে দুরে দূরে । অল্পদুরেই ত্রিকূটের দুটি শৃঙ্গ আধো-অন্ধকার আকাশে মাথা তুলে দাডিয়ে । কি একটা রাত-জাগা পাখী প্রান্তবের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে মাঝে মাঝে কুস্বরে ডাকচে । ডাকবাংলোর বারান্দায় রঘুনাথ পাটােয়ারীব দরওয়ান তিনটি নাক ডাকিয়ে অঘোরে ঘুমুচ্চে। বন্যপ্রান্তরে যেন কি-একটা অব্যক্ত রহস্য থম থম করচে-যা মনেই শুধু অনুভব করা যায়-কিন্তু মুখে কখনো প্রকাশ করা সম্ভব নয়। পরদিন সকালে উঠে সকলের কাছে বিদায় নিয়ে পথে উঠলাম এসে । দুপুর পর্যন্ত হেঁটে মহিষারডি বলে একটা গ্রামে এক আহীর গোয়ালার বাডি একটু জল চাইলাম। গ্রামখানি ছোট-প্রায় সবই গোয়ালা অধিবাসী গ্রামে । বাড়ির BDDBD DBBDDBDYJJBBDKSBDB BBDDD DDD SS --ভাগলপুর থেকে । ? }stxچf-سس --পায়ে হেঁটে, বৈদ্যনাথজী যাচি । কথাটা শুনে শ্রদ্ধায় লোকটা অভিভূত' হয়ে পড়লো । আমাদের