পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*No, অভিাষাত্রিক ঘাট নিয়ে যান দিচ্ছি। ঝকঝকে ক’য়ে মাজা একটা কাসার ঘটি লোকটা বাড়ির মধ্যে থেকে এনে দিলে । টিউকীল অর্থাৎ টিউবওয়েলে জল খেয়ে আবার রাস্তা হাটি । গ্রাম আর বড় নেই, মাঠ আর বনঝোপ । হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার কয়ে মেঘ করে এল-নীল কালবৈশাখীর মেঘ-হয়তো ভীষণ ঝড় উঠবে । কিন্তু তখুনি কিছু হ’ল না, মেঘটা থমকে গেল আকাশে । মেঘের ছায়ায় ছায়ায় পথ বেশ চলতে লাগলুম। একজায়গায় একটা প্রকাণ্ড জিউলি গাছ । দিগন্তবিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যে এই জিউলি গাছের দৃশ্য আমাকে কি মুগ্ধই করলো ! দাড়িয়ে রইলুম। সেখানে অনেকক্ষণ। প্রকাণ্ড গাছের সারা গা বেয়ে সাদা আঠা গলা মোমবাতির আকারে ঝুলচে-গাছের তলায় কলকাতার রাস্তার ধারের সাজানো পিচের মতো একরাশ আঠা । যেন আমি বাংলা দেশে নেই, আফ্রিকার মতো বন্য মহাদেশের অরণ্যপথ ধরে কোন অজ্ঞাত সুদূর গন্তব্যস্থান অভিমুখে যাত্রা করেচি । কি ভালোই যে লাগছিল । আউশ ধানের ক্ষেতে সবে কচি কচি সবুজ জাওলা দেখা দিয়েচে । zY EDLLDS aD YDD BBK YK BBBLL0 DDBLDBS খাওয়া দাওয়ার কথা ভুলে গিয়েচি । বেল এগারোটার কম হবে না। কোন রকমে, কিন্তু সেজন্যে আমার কোন কষ্ট নেই। চারিধারে সবুজ গুমাউশের জাওলা যেন বিরাট সবুজ মখমল বিছিয়ে রেখেচে পৃথিবীর কালো মাটির বুকে । নীলকণ্ঠ আর কোকিলের ডাক আসচে। মাঠের চারিদিক থেকে-মেঘ-থমকানো আকাশের নীলকৃষ্ণ শোভা আর অবাধ মুক্তির আনন্দ-সব মিলে এরা আমায় যেন মাতাল করে তুলেচে । বৃষ্টি এল-একটা বড় বটতলায় আশ্রয় নিলুম। টপ টপ করে বড়