পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR oR অক্তিৰান্ত্রিক ওঁৱা আমাদের ঠাকুরের প্রসাদ খেতে দিলেন, হালুয়া ও দুটি কলা । আমরা কিছু প্রণামী দিয়ে সেখান থেকে নেমে এলুম। বোলা পড়ে এল পথেই-দেওঘর পৌছুতে প্রায় রাত আটটা বাজিলো । ১৯৩২ সালে আমার একটি বন্ধু মধ্যপ্রদেশের রেওয়া স্টেটের দারকেশা বলে একটি ক্ষুদ্র পাৰ্বত্য গ্রাম থেকে আমায় চিঠি লিখলেন, সেখানে একবার যাবার অনুরোধ করে। তঁায় চিঠিতে স্থানটির অস্তৃত প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা পড়ে আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না । মধ্যপ্রদেশের ঘন বন ও পাহাড়ের মধ্যে গ্রামখানি অবস্থিত। তিনি সেখানে কণ্টাক্টরের কাজ করেন, ইদানীং কাঠের ব্যবসাও আরম্ভ করেছিলেন, দুতিনটি ভালো ঘোড়াও কিনোচেন, অনেক কুলি ও লোকজন তার তাতে, বনে বেড়াতে ইচ্ছা করলে তিনি সেদিকে যথেষ্ট সুবিধে করে দেবেন লিখেচেন । আমি কখনও মধ্যপ্রদেশে যাইনি তার আগে, বেঙ্গল নাগপুর রেলের গাডি চড়ে এমন কি কোনোদিন রামরাজাতলাতেও যাইলি । তিনি লিখলেন, বিলাসপুর থেকে যে লাইন কাটুনি গিয়েচে, তারই ধারে কাগিরোড বলে একটি ছোট স্টেশন আছে, সেখান থেকে বত্রিশ মাইল ঘোডায় চেপে যেতে হবে তার ওখানে পৌছুতে । তিনি স্টেশনে ঘোড ও লোক রেখে দেবেন। আমার চিঠি পেলে । আমার সেই বন্ধুটির ছোট ভাই কলকাতায় থেকে কলেজে পডে। তার সঙ্গে গিয়ে একদিন দেখা করলাম। সে-ও আমায় খুব উৎসাহ দিলে। সে ছুটিতে একবার সেখানে গিয়েছিল, চমৎকার জায়গা, গ্রামের ধারেই বিশাল বনভূমি, হরিণের দল চরে বেড়ায়, ময়ুর তো যথেষ্ট, গ্রামের গাছপালায় ভালে বনমায়ুর এসে বসে-ইত্যাদি ।