পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 3 অভিযান্ত্রিক উচু-নিচু পাহাড়ী পথ, তোড়ে জল চলেচে রাস্তার পাশের নালা দিয়ে । শালগাছ সর্বত্র । অভিজ্ঞ পণ্ডিতেরা মধ্যপ্রদেশের এই অংশকে Deccan trap-এর অন্তভুক্ত বলে নির্দেশ করেচেন, শালবৃক্ষ এই অঞ্চলে সকলের চেয়ে বেশি জন্মায় । স্টেশন ছাড়িয়ে প্রথমটা দু’ধারে অনেক পাহাড় পড়লো, তারপর রাস্তা অনেকখানি নিচু হয়ে গিয়ে একটা ঝরনা পার হয়েচে, তারপর খানিকটা সমতল প্রান্তর, ইতস্তত ছোট-বড় শিলাখণ্ড ছড়ানো । সেই মাঠের মধ্যে বোলা পন্ডে এল । মেঘাচ্ছন্ন আকাশের তলায় সন্ধ্যার অন্ধকার ক্রমশ ঘন হয়ে নামচে । আমার ডুলির পেছনে পেছনে ওদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তিটি আমার জিনিসপত্র মাথায্য করে নিয়ে আসছিল । তাকে দেখে আমার মনে হ’ল লোকটি নিতান্ত ক্ষীণজীবী, দুর্ভিক্ষের আসামী। ডুলি-বাহকদের একজনকে বললুম, এ বেচারী মোট বইতে পারচো না ; তোমরা কেউ জিনিস নিযে ওর কঁাধে फूनि प्रांस्s ! তারা হেসে বললে-বাবু, চুপ করে বসুন, ও একজন ভালো শিকারী । গায়ে ওর খুব জোর-কোনো ভাবনা নেই । -केि भिक द्धि कgद्ध ? -হরিণ মারে, ভালুক মারে । সব কিছু ম্যাবে-কোন জঙ্গলে শিকার করে ? --আপনি যেখানে যাবেন বাবু সেখানে খুব বড় জঙ্গল আছে । সেখানে ও গিয়েচে অনেকবার । শুনে লোকটার প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা হ’ল । ওর দিকে ভালো করে চেয়ে দেখলুম, গায়ে চর্বি বোধহয় এক আউন্সও নেই, কিন্তু লোহার তারের মতো শক্ত দড়ি-দাড়ি হাত-পা । গলাটা যেন একটু বেশি লম্বা, চক্ষুদুটির