পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিধান্ত্রিক প্রতিবেশীয় বিবাহযোগ্য কন্যা ছিল, তাদের কাছেও কথা পেড়েছিলুম। ভদ্রলোকের ঠিকানা দিয়ে পত্র-ব্যবহার করবার অনুরোধও করি । কিন্তু যে ক’টি পাত্রীর সন্ধান করেছিলাম, তাদের অভিভাবকদের মধ্যে কেউই অত দূর বলে জঙ্গলের দেশে মেয়ের বিবাহ দিতে রাজি হননি। আমার স্বগ্রামের পাত্রীটির বাপ একরকম রাজি হয়েছিলেন। কারণ র্তার অবস্থা তত ভালো ছিল না, কিন্তু মেয়ের মা ভয়ানক আপত্তি তোলেন । আমায় ডাকিয়ে বললেন, অমান সীতা-নির্বাসনে কে মেয়ে দেবে বাপু ? আমার মেয়ে তো ফেলনা নয়, সেখানে গিয়ে কথা বলবার লোক পাবে না, হঁাপিয়ে উঠবে । যাক সে কথা । চোরামুখ ছাডিয়ে বেলা দশটার সময় আমরা পেঁৗছে গেলুম সালকোণ্ডা বলে একটা ছোট গায়ে । রাস্তার ধারেই একটা চুনের ভাটি আছে, আশেপাশে অনেকগুলো বড়-ছোট চুনের ভাটি। এখানে অনেকগুলি গোড় কুলি কাজ করে, তাদের জন্যে বড় বড় কুলি-ধাওডাং খান পাঁচ ছয় ভাটির আশেপাশে ছডানো। জায়গাটাব দৃশ্য বেশ ভালো YBBDBS DOBKD BBBS S S LLLLD DDDD DBBDB BTK DL DBJDBSS KYS S BDDBD মাঝে ধাতুপ ফুলের ঝোপমতো গাছ-একদিকে তো ধাতুপ ফুলেরই বেড । শাল গাছের ফ্যাক দিয়ে একটা পুকুর দেখা যাচ্চে কিছু দূরে। দুরে ও নিকটে শৈলশ্রেণী, প্রকৃতপক্ষে স্থানটির চারিধার ঘিরেই শৈলমালা, মধ্যে যেন একটি বড় উপত্যকা । এই অঞ্চলের সব বন পাহাড় ও গ্রাম “ছত্তিশ গঢ়ি’ পরগনার মধ্যে

  • हिए ।

পূর্বে এই দিকের সব স্থান মারাহাট্টা সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত ছিল, এখনও অনেক ছত্তিশ গঢ়ি মারহাট্ট পরিবার এই সব গ্রামের অধিবাসী । তবে স্থানীয় আদিম অধিবাসী গোড়দেয় সংমিশ্রণে এদের অনেক পরিবর্তন