পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चीछिबiब्लिक 食戈臀 হয়েচে, অনেক জায়গায় উভয় জাতির আচার-ব্যবহার উভয়ের মধ্যে বস্তৃতিলাভ করেচে, বিশেষ করে এই সব দুৰ্গম বন্য-অঞ্চলে । চুনের ভাটিয় গদিতে বসে কাজ করচেন। জনৈক মারাঠী ভদ্রলোক। তার চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ, মাথার মুরাঠা সবই আমার চোখে অদ্ভুত লাগলো। আমি তার দিকে চেয়ে আছি দেখে তিনি উঠে এলেন আমার কাছে। "হিন্দীতে বললেন-আপনি কোথা থেকে আসচেন ? আমি পরিচয় দিতে তিনি যথেষ্ট বিনয়ের সঙ্গে বললেন- আস্থান, আমার গদিতে একটু বসুন। গিয়ে বসলুম তার সঙ্গে। ভদ্রলোকের চেহারা এমনি, যে বার বার চেয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় ; সুন্দর বলে ততটা নয়, যতটা কিনা আমার চোখে অপরিচিত সাজপোশাক ও মুখের গডনের জন্যে । আমায় বললেন-আজ আমার ওখানে দয়া করে থাকতে হবে । আমার বন্ধু অনেক বাঙালী আছেন, আমি বাঙালীদের বড় ভালোবাসি । আমি বিশ্বাস করি ভারতবর্ষের জাতীয় জাগরণের মূলে রয়েচে বাঙালী । এই সম্পর্কে তিনি সুরেন্দ্রনাথ ও চিত্তরঞ্জনের নাম উল্লেখ করলেন বারবার, অত্যন্ত সশ্রদ্ধ-ভাবে। বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে ছত্তিশ গঢ়ির শৈলারণ্যবেষ্টিত ক্ষুদ্র এক গ্রামে এক চুনের ভাটিতে বসে আমার মাতৃভূমির দুজন সুসস্তানের নাম উচ্চারিত হ’তে শুনে গর্বে, আনন্দে আমার বুক ভরে উঠলো । ভদ্রলোক নিজের পরিচয় দিলেন । নাম বালকৃষ্ণ ত্র্যম্বক, রংডে ব্রাহ্মণ, বাড়ি খাণ্ডোয়া নাগপুরের ওদিকে । এখানে এই চুনাপাথরের খনি ইজারা নিয়ে ভাটিতে চুন পুড়িয়ে মোটর লরি করে এগারো ক্রোশ দূরবতী রেলওয়ে সেন্টশনে চালান দেন । আমি যে পথে এসেচি, ও পথে বা স্টেশনে নয়, কারণ ওটা মোটর গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত রাস্তা নয় । বালকৃষ্ণ ত্র্যম্বক আমাকে তঁর বাসায় নিয়ে গেলেন । তার স্ত্রী, দুই