পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাট্ৰিক দারকেশা থেকে এগারো মাইল দূরবতী গাবনামেণ্ট রিজার্ভ ফরেস্টােব একদিন দেখতে গেলুম। সেদিন সঙ্গ কেউই ছিল ন-আমি ঘোড়া করে বেলা দশটার সময় বার হয়ে বেলা একটার সময় একেবারে পথহীন বিজন বনের মধ্যে গিয়ে পড়লাম । বড় বড় গাছ, পাতায় পাতায় জড়াজড়ি-নিচে কোথাও যেন মাটি নেই, শুধুই সাদা পাথরের নুড়ি ছড়ানো-মাঝে মাঝে ঝরনা । এ বনেও অনেক বুদ্ধ-নাবিকেলের গাছ দেখা গেল । ঝরনার ধারে ঘন জঙ্গল, অন্যত্র বন এত ঘন নয় । এই বনে অত্যন্ত ম্যালেরিয়া ফুলের ভিডি ( Twantana Camera ), বিশেষ করে ঝরনার ধারে । এই সুদৃশ্য ফুল এখানে ফুটেচে খুব বেশি ও নানা রঙের । বনের মধ্যে এক জায়গায় বাঘ শিকারের মাচান বঁাধা ! দেখে মনে হ’ল কিছুদিন আগে এখানে কেউ শিকার করতে এসেছিল। এই বন যে হিংস্ৰ জন্তু-অধুষিত, তা মনে পড়লো এই মাচান দেখে-আরও গভীরতর অরণ্যে অবেলায় প্রবেশ করা সমীচীন হবে না ভেবে ঘোডার মুখ গ্রামের দিকে ফেরালুম । পথে একজন খাকী পোশাক পরা কালো লোকের সঙ্গে দেখা । লোকটি গবন মেণ্টের অরণ্যাবভাগের জনৈক কর্মচারী । আমায় দেখে বললেওঁআপনি কোথায় গিয়েছিলেন ? আমি বললুম, বনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। লোকটি বললে-অন্যায় করেচেন, এক যাওয়া আপনার উচিত হয়নি। ৮ বনে বাঘের ভয় আছে, এ সব অঞ্চলের বাঘ বড় খারাপ। একটা মানুষথেকে বাঘ ও বেরিয়েচে বলে জানি । সামনে আসচে কোজাগরী পূর্ণিমার জ্যোৎসারাত্রি। আমার প্রবল