পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

苓●影 རྒྱ་ সমায়োহ সারা পথে, মাঝে মাঝে পাহাড়ী নদীর খাত বেয়ে বিয়বির করে। জল চলেচে পাথরের মুড়ির রাশির ওপর দিয়ে । এক জায়গায় বড় বড় গাছের ছায়া । সামনে একটি পাহাড়ী নদীর কাঠের পুলের ওপর ঘাসের চাপড়া বিছিয়ে দিচ্চে। ঝরনার দুধারে পাহাড়ী করবীর গাছ ফুলের ভারে জলের ওপর সুয়ে আছে। প্রমোদীবাবু প্রস্তাব করলেন, এখানে একটু চা, সেরে নেওয়া যাক বসে । কিরণ বললে-চা খাওয়ার উপযুক্ত জায়গা বটে। বসুন সবাই । আমাদের সঙ্গে ফ্ল্যাস্কে চা ছিল, আর ছিল মার্মালোড আর পাউরুটি । মার্মালেডের টিনটিা এই প্রথম খোলা হ’ল। প্রমোদ ও পরিমল রুটি কেটে বেশ করে মার্মালেডি মাখিয়ে সকলকে দিলে-কিরণ চা দিল সবাইকে টিনের 寺tび* কিছুক্ষণ পরে কিরণ রুটি মুখে দিয়ে বললে-এত তেতো কেন ? এ:- আমিও রুটি মুখে দিয়ে সেই কথাই বললুম। ব্যাপার কি ? শেষে দেখা গেল মার্মালোডটাই তেতো। মার্মালোড নাকি তেতো হয়, পরিমল বললে। কি জানি বাপু, চিরকাল পড়ে এসেচি মার্মালেডি মানে মোরব্বা, সে যে আবার তেতো জিনিস-ত কি করে জানা যাবে ? এ নাকি সেভিলের তেতো কমলালেবুর খোসায় তৈরী মার্মিলেন্ড, টিনের গায়ে লেখা আছে । পরিমল এটা কিনে এনেছিল- তার ওপর সবাই খাপ্পা । কেন বাপু কিনতে গেলে সেভিলের তেতো কমললেবুর মার্মালোড ? বাজারে জ্যাম জেলি ছিল না ? হাটতে হাটতে রৌদ্র চড়ে গেল দিব্যি। বেলা প্রায় এগারোটা । পথের নব নব রূপের মোহে পথ হাটার কষ্টট আর মনে হচ্ছিল না । এ যেন জনহীন অরণ্যভূমির মধ্যে দিয়ে চলেচি-এতটা পথ চলে এলুম,