পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rr अछिश्ारिक কামরায় নেই, ওদিকের বারান্দায় দূর কোণে একখানা চেয়ারে তিনি বসে । কাছে যেতেই বললেন, আপনি কিছু বলুন-ইংরিজিতে না বাংলাতে ? -दां३व्गांध्र दलूनইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের আবৃত্তি-প্রতিযোগিতার জন্যে বঙ্কিমচন্দ্রেব লেপা খানিকটা মুখস্থ করেছিলুম, মনেও ছিল । সামনের থামেব দিকে চেয়ে মরীয়ার সুরে তাই আবৃত্তি কবে গেলুম। কেশোরাম খুশি হ’লেন । চাকুরি আমার হয়ে গেল । দিন পাঁচ-ছয় পরে ট্রেনে কুষ্ঠিয় গিয়ে নামালুম। কলকাতার কাছে কুষ্টিয়া, নদীয়া জেলায় একটা মহকুমা । এখানে কি থাকবে ? কিন্তু “আমার কাছে একটা দেখবার জিনিস ছিল । আমার মাতামহ সেকালের এঞ্জিনিয়ার ছিলেন, গোরাই নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রিজ তিনি তৈরি করেন। এ গল্প অনেকদিন থেকে মাতুলালয়ে শুনে আসচি । ঘুমের ঘোরে ভালো দেখতে পেলুম না। ব্রিজটা । জীবনে চাকুরি উপলক্ষে সেই প্রথম বিদেশে যাওয়া। ডাকবাংলোয় গিয়ে উঠলুম, তিনদিন মাত্র এখানে থাকতে হবে। পথে বেরিয়েচি, আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা, কলেজে তার সঙ্গে পড়েছিলুম । সে আমায় দেখে তো অবাক । ধবে নিয়ে গেল তাদের বাসাতে একরকম জোর করেই-আমার কোনো আপত্তি শুনলে না । আমি তাকে বললুম।---ভাই, গোরাই নদীর ব্রিজটা দেখাবি ? -সে আর বেশি কথা কি, চলে আজই । বনজঙ্গল আর কচুবন ঠেলে ঠেলে গোরাই নদীর ধারে আমরা গিয়ে পৌঁছলাম। গোরাই নদীর উভয় তীরের মাঠে, জঙ্গল বঁাশবনের শোভা