পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

電》輸 आठेिषोंकि দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যার সময় সন্দীপের উপকূলে স্টীমার গিয়ে নোঙর করলে আর স্টীমার থেকে সব লোক নেমে চলে গেল-এমন কি খালাসীগুলো পর্যন্ত নেমে গেল। সন্দীপের উপকূলে এই সন্ধ্যাটি আমার চিরদিন মনে ८ ।। আমার একদিকে বঙ্গোপসাগর, তার কুলকিনারা নেই-আসলে যদিও এটা সন্দীপের খাঁড়ি, ঠিক বহিঃসমূদ্র নয়, কিন্তু দৃষ্টি যখন কোথাও বাধে না, তখন আমার অভিজ্ঞতার মধ্যে সমুদ্রের যে রূপ ফুটে উঠেচে তার সঙ্গে কি বঙ্গোপসাগর, কি ভারত মহাসমুদ্র-কারো কোনো তফাৎই নেই । অদূরের তীরভূমি অপূর্ব সুন্দর, তাল আর নারকেল সুপারির বনে ঘন সবুজ। সন্ধ্যায় যখন সবাই নেমে গেল, আমি স্টীমারে একেবারে এক চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগলুম শেষ বৈকালের ক্রমবিলীয়মান রৌদ্র পীত থেকে স্বর্ণািভ, যক্রমে রাঙা হয়ে কি ভাবে তালীীবনরেখার শীর্ষদেশে উঠে গেল, আকাশ কি ভাবে পাটকিলে, তারপর ধূসর, ক্রমে অন্ধকার হয়ে এল। অনেক দিন আগের সেই সন্ধ্যায় যে সব কথা আমার মনে এসেছিলতা আমার আজও মন থেকে মুছে যায়নি, সন্দীপের সমুদ্র-উপকূলের বহুবর্ষ আগেকার সেই সন্ধ্যাটির ছবি মনে এলে, কথাগুলোও কেমন করে でにポ*びg 平f羽! পরদিন খুব ভোরে স্টীমার ছাডলে । চট্টগ্রামের যাত্রীদল শেষরাত্রে ডিঙি করে এসে স্টীমারে উঠলো।-- তাদের হৈ-চৈ আর. গোলমালে ঘুম ভেঙে গেল। ডেকে ভিড জমে গোল খুব, তার ওপর বস্তা বস্তা শুটকি মাছ এসে জুটলো, বাতাস ভারাক্রাস্ত হয়ে উঠলো শুটকি মাছে দুৰ্গন্ধে । সকালে যখন সুর্যোদয় হ’ল, তার আগে থেকেই দক্ষিণদিকে কূলরেখাবিহীন জলরাশি, বামে নোয়াখালি আর চট্টগ্রামের ক্ষীণ তীররেখা আয়