পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক و وه কানন্দে প্রভৃতি এদিকে একেবারেই নেই। এদিকের উদ্ভিজসংস্থান সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, তাতেই বোধ হয় যা দেখি তাই যেন ছবির মতো মনে জাগায় অ পুর্ব সৌন্দর্যের অনুভূতি । সর্বত্র অসংখ্য সবুজ বনটিয়ায় ঝাক । বড় বড় বেত বেণ প। । কঁাটিাবনের নিবিড় জঙ্গল মাঝে মাকে । এই পথে প্রথম রবারের বাগান দেখি । আগে রবারের বাগান বলে বুঝতে পাবিনি, বড় বড় গাছ, অনেকটা কঁাটাল পাতার মতো পাতা । গাছেব গায়ে নম্বর মারা-কোনো কোনো বাগান কঁাটাতার দিয়ে ঘেরা, কোনো কোনো বাগান বেষ্টনীশূ? ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে -“শুনেছিলাম। অনেক বাগান পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে । এক জায়গায় ডাকপিয়াদার থাকবার জন্যে বনের মধ্যে ছোট খড়ের ঘর } আমার সঙ্গে যে পিয়াদা এসেছিল, সে এর বেশি আর যাবে না । রাত্রে আমরা সেই খন্ডের ঘরেই রইলুম, সকালে অন্যদিকের পিওন এসে এর কাছ থেকে ডাক ব্যাগ নিয়ে যাবে, এ পিয়াদ। ওর ব্যাগ নিয়ে চলে আসবে সিংজু৩ে আমরা যখন সে ঘরে পৌছুলাম, তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেচে । ডাকপিয়াদার ঘরে যাপিত সেই রাত্রিটি আমার জীবনে মনে করে রাখবার মতো । দুধারে আরাকান ইয়োমার উন্নতকায় শাপ-প্রশাখা, সারা পৰ্বত-সানু নিবিড় অরণ্যময়। অরণ্যের সান্ধ্য স্তব্ধতা ভঙ্গ করেচে পাৰ্বত্য ঝরনার কুলকুল শব্দ, অন্ধকার বনের দিক থেকে কত কি পাপীর ডাক আসাচে ; যদিও স্থানটির মাইলথানেকের মধ্যে খুব বড় একট। রবারের বাগান, তবুও সন্ধ্যায় যেন মনে হচ্ছিল পৃথিবীর প্রাস্তসীমায় এসে পড়েচি দুজনে, জন-মানুষ নেই বুঝি। এর কোনো দিকে ।