পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক দেখতে বেঁটে-খাটো লোকটি, কিন্তু তার দেহ যেন ইস্পাতে তৈরী, যেমন নির্ভীক, তেমনি আমুদে। ভাঙা ভাঙা ইংরিজিতে কত রকমের হাসির গল্প করতে করতে আসচে। সারাপথ । বনের মধ্যে যখন পথ আর দেখা যায় না, তখন আশ্রয় মিললো । নিবিড় বনপৰ্বতের মধ্যে খন্ডের ঘর । এত বড় নির্জন বনের মধ্যে আমরা মোটে দুটি প্রাণী । রাত্রে রান্না হ’ল শুধু ভাত । অন্য কোনো উপকরণ নেই, সুন পর্যন্ত না, এদেশের লোকের দেখলুম নুন না হ’লেও চলে । এর আগেও অনেক বার দেখোঁচি, লুনকে এরা রন্ধনের একটা অত্যাবশ্যক উপকরণ বলে আদৌ মনে করে না । সমস্ত দিন পথ হাটার পব শুধু ভাতই অমৃতের মতো লাগলে আমাদের মুখে । বিছানায় শুয়ে পডবার আগে আমি একবার বাইরে গিয়ে অরণ্যানীর নৈশক্লপ দেখতে চাইলুম, ডাকপিয়াদা আমাকে বাইরে যেতে বারণ করলে । তার পব সে একটা গল্প বললে । মান্দালে থেকে পঞ্চাশ ষাট মাইল দূবে কোথায় গবন মেণ্টের রিজার্ভ ফরেস্ট আছে । সেখানে একজন নতুন ফরেস্ট রেঞ্জার এসে একবার ডাক বাংলোয় উঠলো। ডাকবাংলোটির চারিধারে নিবিড বন, সঙ্গের কুলির বলে দিলে সন্ধ্যা হ’লেই সাহেব যেন আব্ব বাইরে থাকে না, ডাকবাংলোর BYS BDBDS SDDBD BBBS BB BB BBSBDD BB DLBBYS BBBDLE উঠবার আগে যেন দািব জ' খুলে বারান্দাতে না আসে। রেঞ্জার ছিল মাদ্রাজী মুসলমান, খুব সাহসী, ত্রিশের মধ্যে বয়স। সন্ধ্যা হবার একটু আগেই সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকলো । কিছুক্ষণ পরেই তার মনে পািডলো তামাক খাওয়ার পাইপট বারান্দায় টেবিলে ফেলে রেখে এসেচে । তখনও ভালো করে অন্ধকার হয়নি-সাহেবের সঙ্গে যে