পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खाडिवांख्रिक t ছবির মতো। একটা শিলাখণ্ডের উপর বসে সেই দৃশ্য কতক্ষণ উপভোগ করলুম একমনে, আমার সঙ্গী ডাকপিয়াদা এখানে জলে স্নান করতে নামলো । নদী চওড়া হবে হাত-কুড়ি কি বাইশ । হেঁটে পার হতে হয় অবিশি, হঁাটুজলের বেশি নেই কোথাও ! আমরা যখন বসে, তখন ওপার থেকে পােচ ছ’জন লোক একজন সন্ত্রান্ত ব্রহ্মদেশীয় মহিলাকে সিডান চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে এসে জলে নামলো । আমার সঙ্গী ডাকপিয়াদা সিডান চেয়ার কখনো দেখে নি, হা করে। চেয়ে রইল । শুনলুম। এদেশে এ জিনিসের প্রচলন নেই, রবার-বাগানওয়ালা ধনী লোকেরা চীন ও মালয় উপদ্বীপ থেকে এর আমদানি করেচে । মহিলাটি যখন জল পার হ’লেন চেয়ারে বসে, তখন লক্ষ্য করলুম। সাধারণ বমিজ মেয়ের তুলনায় তিনি অনেক বেশি সুন্দরী । এমন কি, আমার মনে হ’ল, গায়ের রং বমিজদের মতো নয়, গোলাপী আভা ধাপ-ধাপে Ħwig vesti আমার সঙ্গী জলে নেমে স্নান করছিল, সে তাডাতাডি জল থেকে উঠে

  • ठgदलों ।

এ ধারে এসে সিডান চেয়ারের বাহকের চেয়ার নামিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলে। মহিলাটি একবার কৌতুহল-পূর্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলেন, আমিও চেয়ে দেখলুম, বেশ সুন্দর মুখশ্রী । পরে সিংজুতে জিগ্যেস করে আমি জেনেছিলুম। তিনি বৰ্মিজ নন, সান দেশীয় মেয়ে । সান মহিলারা সাধারণত ব্রহ্মদেশীয় মেয়েদের চেয়ে দেখতে অনেক সুন্দরী । মহিলাটি জনৈক ইউরোপীয় রবার-বাগানের মালিকের বিবাহিত। পত্নী, অনেক টাকার মালিক ওঁর স্বামী । ওঁরা প্রায় আধঘণ্টা খেয়াঘাটে বসে রইলেন, আমার সঙ্গী ডাকপিয়াদা আরও দূরে গাছপালার আড়ালে গিয়ে মান সেরে এল ।