পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক () --নাগ্নি সব সময় বা সকল ভোজে খায় না । ও একধরনের চাটনি হিসেবেই খাওয়া হয় । নাল্পি টেবিলে দিলে আপনি উঠে পালাতেন । ASLqLLLtSDD BDBBDBD SDDO S -আমাদের রান্না একটাও নয় । বাঙালী বাবুচি দিয়ে সব রাধানে । আমরা পোলাওটা বাধতে পারি, মংড় বাংলাদেশের কাছে, অনেক বাঙালী এখানে থাকেন, আমাদের খাওয়া-দাওয়া অনেকটা বাঙালী ধরনোয় হয়ে গিয়েচে । হাসিগল্পের মধ্যে দিয়ে খাওয়া শেষ হ’ল । পাবদিন আমি ওঁদের একটি বাঙালী হোটেলে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালুম। ওঁদেব সঙ্গে এত আলাপ হয়ে গিয়েছিল। এ ক’দিনে যে, সাতদিন পরে যখন ংডু ছেড়ে চলে আসি তখন সত্যিই বন্ড কষ্ট হয়েছিল ওদের ছেডে আসতে । আসবার সময় মিঃ মৌংপো মেয়েদুটিকে নিখে জাহাজঘাটে আমায় বিদায় দিতে এলেন । মৌংকেট একটা সুদৃশ্য চন্দনকাঠের ছোট বাক্স ভর্তি সমুদ্রের কডি, ঝিনুক আমায় উপহার দিলেন । দুঃখের বিষয় এই বাক্সটি সেইবারেই ঢাকা আসবার সময ট্রেনে খোয়া যায় ! ংড় থেকে চাটগাঁ, ফিরে আমার পূর্বপরিচিত সেই ভদ্রলোকের বাডিতে এসেই উঠলুম। এই উপলক্ষ্যে একটা কথা আমার এখনও মনে আছে । চট্টগ্রাম আমাব কাছে তো বহুদূর বিদেশ, কিন্তু যখন ডবল মুরিংস জেটি থেকে ঘোডার গাডি করে ওদের বাডি যাচ্চি, তখন মনে হ’ল যেন অনেকদিন পবে বাডি ফিরলুম। ওদের সেই বৈঠকখানার পাশেই মূলী বঁাশের চাচে ছাওয়া ছোট্ট ঘরখানি আমায় কত প্রিয় পরিচিত হয়ে উঠেছিল, যেন আমার কতদিনের গৃহ সেটি। উঠানের বাতাবী লেবুগাছের ছায়া যেন কতকালের পরিচিত আশ্রঃ।