পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bም © অভিযাত্রিক আসবার সময় পাণ্ডাঠাকুরের মা আমার নাম-ঠিকানা লিখে নিলেন, পুনরায় আসতে বার বার অনুরোধ করলেন। দেখলুম, তিনি এমন খুশি, যেন খুব এক জন বািডলোক যজমান পেয়ে গিয়েচেন, এবার থেকে যেন তার সকল দুঃখ ঘুচিবে। কষ্ট হ’ল ভেবে যে এই দরিদ্র পরিবার আমার কাছে যে আশা করেচেন, আমার দ্বারা তা কতটুকু পূর্ণ হবে ! হায়রে মানুষের আশা । সন্ধ্যার কিছু পরে সীতাকুণ্ড গ্রামে ফিরে এসে দেখি আমি যার সঙ্গে এসেছিলুম, তিনি জরুরী চিঠি পেয়ে চাটগাঁ, চলে গিয়েচেন । আমায় আরও তিনদিন এখানে থাক ক্ষে বলেচেন, তিনি আবার আসবেন তিনদিন পরে । পাণ্ড ঠাকুর আমাকে যত্ন করে ভাল বিছানা পেতে দিংে চে বাড়ির মধ্যে একটা ঘরে । আমি যেতেই বললে, বাবু, আপনার জন্যে চায়ের জল চড়ানো রয়েচে, বস্থান বেশ আরাম করে । আমার স্ত্রীকে বলে দিয়েচি, বাবুর সামনে বেরুবে, কথা বলবে, তাতে কি ! উনি তো আমাদের যজমান, বাডির C#दक ! আমি বললুম-ঠিক, উনি তো মাযের মতো । আমার সামনে আসবেন, এ আর বেশি কথা কি । কিছুক্ষণ পরে পাণ্ডাঠাকুরেব স্ত্রী চা নিয়ে ঘবে ঢুকলেন । বযেস তেইশ চবিবশ, এক হাবা গৌরবর্ণা মেয়ে ! মোটা লালপাড় শাডি পরনে । আমায় চাটগায়ের বুলিতে যা বললেন তার মর্ম এই যে, আমি বান্ত্রে ভাত খাই না রুমটি খাই ? আমি বললুম-যা-ইচ্ছে করুন মা, আমার খাওয়ার কিছু বাধাবাধি নেই । "আর কিছু না বলে তিনি ঘর থেকে চলে গেলেন । ষেন কত সঙ্কুচিত, লজিত হয়ে আছেন নিজেদের আতিথ্যের ত্রুটির জন্যে। বাড়বকুণ্ডুতে