পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R অভিযাত্রিক সাদা সাদা ফুলে লতাগুলো ভাঁতি-গাছের মাথা সেই সাদা ফুলে ছাওয়া । একদিকে একটা ক্ষীণস্রোতা পাহাড়ী ঝরনা সেই অপূর্ব বনভূমির মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেচে, ছোটবড় শিলাখণ্ড বিছানো অগভীর পথে । তার দুধারে জলের ধারে ধারে ফুটে আছে। রাঙা বন-করবী । আমি কতক্ষণ সেখানে একটা পাথরের ওপর বসে রইলুম। একদৃষ্টে কতক্ষণ চেয়ে দেখেও যেন দেখবার পিপাসা মেটে না । গাছপালা, পুম্পিত লতা, বনভূমি, দীর্ঘ শৈলমালা ও ক্ষুদ্র পাহাড়ী নদী-সব নিয়ে একটা অতি চমৎকার ছবি, এই ছবির কি একটা অস্ফুট রহস্যময় ভাষা আছে, খানিকটা বা বোঝা যায়, খানিকটা যায় না । বিকেলে বেশ ছায়া পড়ে এসেচে স্থানটিতে-কাতরকমের পাখী ডাকচে, বনলতার ফুলের সুগন্ধ ভুর ভূর করচে বাতাসে । এখানে হঠাৎ যদি কোনো বনদেবীকে আবিভূতি দেখতুম, তবে যেন তার মধ্যে বিস্ময়ের কিছু OD tS LK DBDS DDBDt uBDB BDBDDSBBBDDBB DDDBD q বিহগকৃজিত নির্জন বন-প্রান্তেই তো তাদের আসন । সন্ধ্যার পূর্বে সেখান থেকে আবার আরঙ্গজেবপুরে চলে এলুম। এরা থাকে যে গ্রামে, বাইরের খবর সেখানে যথেষ্ট পৌছোয় অন্য অনেক গ্রামের চেয়ে, কারণ এ গ্রামের অধিকাংশ লোক কাজ করে বাইরে । জাহাজে স্টীমারে চডে তারা অনেক দূরের সমুজে পাড়ি জমিয়েচে বহুবার । শৈলপাদমূলের এই ক্ষুদ্র গ্রামখানিতে বসে তাদের মুখে জাপানের, লগুনের, সিংহলের অনেক গল্প শুনলুম । ওরা সে রাত্রে আমার জন্যে একটা খাসি ছাগল মারলে। যার বাড়ি ছিলুম, সে তার অনেক প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করলে ওর বাড়িতে । আমাকে আলাদা স্নায়া করতে হ’ল-কিছুতেই ওরা ওদের রায়া