অমরনাথ । : * এসে বেলিলে যে “ আৰ ভয় নেই, ডাক্তার বোলেছেন, এইটা খাওয়াবা মাত্র আবাম হবে। ডাক্তার বাৰু বেশ লোক।” এই বোলে খাইয়ে দিয়েই অম্নি জিজ্ঞাসা কোচ্ছে যে “কেমন চারু। বেদনটি কিছু নরম পোড়েচে ?” চারু বোলুলে “ই” । অমনি আমার হাত থেকে পাথ খানা নিয়ে এমনি ব্যগ্র হয়ে বাতাস দিতে লাগল, বোধ হয় যেন বাতাস দিয়েই যে অবশিষ্ট বেদনা টুকু আছে তা উড়িয়ে দেবে। ওব এইরূপ ব্যগ্রতা দেখে আমাব চারুর ব্যথার দুঃখ অপেক্ষ অবও ভয় হতে লাল, ও যে এই ব্যগ্র হয়েছে, আর আরাম হবে বোলে হর্ষ হয়েচে, যদি না আরাম হয়, তবে যে আশা ভঙ্গ হয়ে ওর মুখখানি মলিন হবে, তাই ভেবেই আমি মা দুর্গাকে ডাকৃতে লাগলেম । তার পরে তঁাব ইচ্ছেতে আরাম হয়ে গেল, তখন ও জল খাবার এনে চারুর মুখে একখান জিলিপি ধোরে বোল্লে যে * এখন এই খেয়ে একটু জল খাও দিধি, তা হলে ও ক্লেশটা যাবে এখন গু। এই রকম একখানা জিলিপি ও আদখানি কামড়ে ন্যায় তাব পর বাকী টুকু আপনি খায়। এই খেতে খেতে—আবার মেয়েটিও এমনিচারু বোলচে ’ মা, দাদা যখন ঔষধটা খাইয়ে দিয়েই অমনি জিজ্ঞাসা কোচ্ছেন যে কেমন আরাম হয়েছে ? তখন ঐ ওষুধটার ঝালে আরও পেটের ভিতর জ্বালা কোচ্ছিল। কিন্তু দাদ। আবার কাদবেন এই ভয়েতে আমি বোললেম ইt, আরাম হয়েচে । অমর । বল কি ? এতদুব বিবেচনা ? কমল । তা নৈলে বোল্ছি কি ? অমর। হে করুণাময় পিতা! আমি আর কিছুই চাইনে, যেন তোমার চরণে ভক্তি থাকে। কমল। আর কি বোলব, আমি কখনই তোমার বিচ্ছেদ সহ কোর্ভে পাত্তেম না, যদি এই দুটি বাচ্চ। আমার কাছে না থাকত। ওদের যে