পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鲁之 অমরনাথ । ভিন্ন আহার কোর্ভে বসা হয় না, তা যত বেলাই হোক। আবার অtহার কোর্ভে বোসে ইলিশ মাচের ডিমটি, রুই মাচের মুড়োটি, দুধের সয়খানি, গাত থেকে তুলে তুলে দেয়া হয়। লজ্জাও করে না। এই যে বোল্‌লেম, এমনি ভণ্ডাম করে যে, ওর স্ত্রী তা দেখে হাসি রাখতে পারে না, কিন্তু অমরনাথ দাদ। তাতেই তুলে যান । ঘোষ। সুতরাং যাবেনই তো । সরল মনুষ্যের হৃদয় যেন দর্পণের ন্যায়, তাতে কেবল বাইরের অবয়বই প্রতিবিম্বিত হয় ; অন্তবের ধূর্ত্ততা থাকুলে তা তাতে জানা যায় না। উদার ব্যক্তির মন জলের ন্যায় ; ক্রর লোকে আপনার অভিসন্ধি অনুসারে যেরূপ পথ প্রস্তুত করে,—বক্রই হোক, তোর্চাই হোক, আর চক্রাকারই হোক—সেই পথেরই অনুগামী হয় । অমরনাথের ছেলেটি মেয়েটিও শুনৃতে পাই বড় চমৎকার। ছেলেটি তে৷ এই অলপ বয়েসে ইংরাজী ইস্কুলের দ্বিতীয়বর্গের প্রধান, আর মেয়েটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান । মেয়েটির রূপের কথা শুনৃতে পাই,--আমি তো জমীদারের মেয়েকে স্বচক্ষে দেখেছি অদ্বিতীয়— কেউ বলে প্রায় তুল্যামৃতুল্য, কেউ বলে তা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট, কেউ বলে এ এক রকম ও এক রকম, কে সরেস কে নিরেস, তা বলা যায় না । তুমি কি বল ? রাধা । আমার রোধ হয় যে শাস্ত্রমতে বিবেচনা কোর্ত্তে গেলে— অর্থাৎ দীর্ঘ নাসা, মুক্ত পাতির ন্যায় দত্ত, মৃগ নয়ন, বান্ধুলি ফুলের ন্যায় ওষ্ঠ—এবিষয়ে জমীদারের কন্যাকে বরং সরেসই বোলতে হবে । কিন্তু লাবণ্য যাকে বলে, অর্থাৎ মনের চক্ষে ষেটি দর্শন হয়, যাতে মন মোহিত হয়, কিন্তু মুখে বর্ণনা করা যায় না, সে যে একটি মধুরতা, সে সম্বন্ধে অমরনাথ দাদীর কন্যা চারুর তুল্য তো আমার চক্ষে কখনও পড়েনি, স্তরে ষে অমন আর নেই, তাও সাহস করে বোলতে পারিনে ।