পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 অমরনাথ । টাক আর গহনা ? এই ফুস, এই উড়ে গেল!” এই বলে আর তঁর মুখের কাছে এমনি কোরে তুড়ি দ্যায়! (তুড়ি দিয়ে দেখান ) তিনি যেই কথা কোইতে যান, আর বলে এই ফুস, এই উড়ে গেল, এই ফুস, এই উড়ে গেল ! (রাগেতে দন্ত কিড়িমিড়ি কোরে) কি বোলব ! যদি আমি সেখানে থাকতেম, তো যেমন কীচক বধ করে, তেমনি এই একে কিলে (রঙ্গভূমে বজ্র মুষ্টি প্রহার ) ওর মুগুটে পেটের ভিতর বোসিয়ে দিতেম, ওর হাত পা পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে, কুম্ড়োর মত কোরে লেথুতে লেখুতে গড়াতে গড়াতে নিয়ে গে ভাগাড়ে ফেলে আসতেম! ঘোষ। হাঃ হাঃ ! রাধামোহন বড় স্পষ্টবাদী। ও অন্যায় সহ কোর্ত্তে পারে না। ভাল, তা ওর ছেলেটি কেমন ? 响 রাধা । ছেলেটি বাপকি বেটা। ধৃতরাষ্ট্রের পুত্র দুর্য্যোধন । মাচির পেটে মুক্ত পোকা । তার লেখা পড়া তো দরজির ছেলের পারসি পড়ার মত অনেক দিন হয়ে গেছে। এখন তার জন্যে পাড়াব বি বউ ঘাটে পথে বেরুতে পারে না । কিশোরী গয়লানী দুধ যোগান দ্যায়, সে ওর মায়ের বয়নী,তাকে সেদিন এমন একটা খাবাৰ কথা বোলেছে, যে, সে বোকুতে বোকতে যাচ্ছে, যে “ তুই কালুকের ছোড়া, তুই যখন হোয়ে ক্যা কোরে উইলি, সে আওয়াজ আমার কাণ থেকে বেরুতে পারেনি। তুই কিনা আমাকে এই কথা কোস ?” আবার অম্বিকে ছুতরনীর কতগুল ছাগল আছে, তা থেকে দুট না তিনৃটে পাঠা চুরি কোৰে বন ভোজন কোরেছে। সে বেচারী ওর বাপের কাছে বোলতে গেল, তা বলে “ তোর পাঠা জুই সাবধান কোর্ভে পারিসনে ?” এদিকে তো এক্ট, আবার প্রমারা খেলে ওর মায়েব চার পীচ শ টাকার গছন হেরে ফেলেছে। তবে চৌধুরীর বাড়ীর মাতালের আখড়ায় তিন চার দিন গিয়ে মদ খেয়ে এক্সেছে। এই যে মোরেম, ও যেন দোষের সিদ্ধির স্কুলী। ওর কাছে যে দোষ চাও, তাইই