পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । ९२ * 寧 চারু (নেপথ্যের দ্বাব পর্য্যন্ত গিয়া সুসাবময়ের মুখের প্রতি দৃষ্টি করিয়া পুনরায় মুখ ফিরাইয়া) আমি এখন যেতে পারব। আপনার কাছে আমি চিরবাধিতা হলেম । & [ প্রস্থান । স্থসার । এ জীবনে তার অধিক আর কোন বাসনা নেই। ( গোবিন্দ মুখুয্যের বন্ধন খুলিয়া ) ষাও ! এমন কর্ম্ম আর কোর না। তুমি ক্ষিপ্ত হয়েছ আমি শুনেচি, তা নৈলে তোমাকে আমি জেলে দিতেম। (স্বগত) আমিও তথৈবচ। গোবিন্দ । থাক তুমি! তুমি ষে কর্ম্ম কোরেচ, আমি এই গ্রামের সকল লোককে বোলে তোমাকে এগ্রাম থেকে তাড়াব । তুমি আমাকে বেঁধে রেখে, আমার হৃদয়বিলাসিনীকে কদভিসন্ধিতে কুমন্ত্রণ দিতে দিতে লয়ে যাও ! [ প্রস্থান । সুসার । আজ আমার কি সৌভাগ্য ! আহা ! যেন প্রচণ্ড রবির তেজে তাপিত হয়ে কোন নিবিড় বটচ্ছায়াতে উপস্থিত হয়ে মন্দ মন্দ মারুত সহযোগে মধুর বেহালার ধ্বনি এসে এককালীন শরীর এবং মনকে শিথিল কোরে নিদ্রার আকর্ষণ হয়, আমার মনোমোহিনীর মুখ নিঃস্থত, “আপনার কাছে আমি চিরবাধিতা হোলেম” এ কয়টি কথাও তেমনি অনুভব হল। নিঃসন্দেহ, আমি আজন্মকাল যার মুখে যত কথা শুনিচি, তার মধ্যে এত মধুর কিছুই না। ঐ স্বর সংযুক্ত ঐ কথাগুলি এখনও আমার কর্ণকুহরে পর্বতগুহার ন্যায় প্রতিধ্বনিত হোচ্ছে । ভাল তা যাকু, আমার হাতখানা ধরিই অমনি যে উত্তপ্ত লৌহ দণ্ডের ন্যায় ত্যাগ কোল্লেন, এর তাৎপর্য্য কি ? এটা কি ভাল বাসার কোন চিহ্ন ? না তা নয় । তা হলে অভ্যত শীঘ্র পরিত্যাগ কোববেন কেন ? তবে আমি এই যে দুষ্ট্রের হাত থেকে মুক্ত করিছি, তাইতে