পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있8 * - অমরনাথ । চারু । ( সত্বর অঞ্চলে চক্ষু দুটি আচ্ছাদন করিয়া চাপিয়া ধরিয় ) .এই দেখ । নীল । ও কি ? তোমার অর্ণওয়াজটা ভারি डॉनि লাগল কেন ? ও কথা শুনিনে, দেখি তোমার মুখ। (হস্ত ধারণ করিয়া) ও বাপরে ! আরো যে জোর কর দেখি ! - - , , , , , চারু। দেখি দিখি তোমার গায় কত জোর । , নীল । ও সই! তুমি আমাকে বঞ্চনা করবার চেষ্টা কোচ্ছ কি ? তুমি ষে কাদচ, আমি তোমার স্বরেতেই বেশ টের পাচ্ছি। ( পুনরায় হস্ত ধারণ ) । . . . . . . . . চারু । ( চক্ষের আচ্ছাদন ছাড়িয়া নীলনলিনীর গলা জড়াইয়া রোদন ) । - * নীল । অহি, একি ? একি? কান্না কেন ? তবে রোস, রোস, আমি উব ইটুেতে বোসে আছি, পোড়ে যাই যে তোমা সুদ্ধ। আমি ভাল কোরে তোমাকে কোলে কোরে বোসি। ( আসন পিড়ি হইয়া ) এস এখন আমার এই কাধের উপর মাথা দাও । এখন হয়েছে কি বল দিখি শুনি ? চারু। বলা বলি আর কি ? তুমি কি আমার দুঃখের কারণ কিছু দেখতে পাচ্ছে না ? এই দেশের মধ্যে আমি যেন একজন বিদেশীর মত এক। আমার মুখ দুঃখের ভাগী কেউ নেই। দুঃখের বোঝাটি সম্পূর্ণই আমি এক বই। মুখ যদি কখনও কিছুতে হল, তা অমনি মৃতবৎসা গভীর দুধের মত মনের মুখ মনেই লুকিয়ে গেল। আমার এমন যে পিতা, মনুষ্য বংশের তিলক, তিনি যে কোথায় গেলেন, আছেন কি না, তারও স্থির নেই। এক ভাই, যার সঙ্গে আমি একটি গাচের দুটি ডালের মত চিরকাল একত্র—এক তিলের নিমিত্তে বিচ্ছেদ হয় নি, তিনি বিদেশে গেলেন । মানুষের জীবনের একটা প্রধান কার্য্য পরিণয়, তা আমার যেন