পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}' অমরনাথ । প্রথম পুত্র জননে, যেমন বারিহীন জলাশয়েব মৎস্য প্রথম বর্ষণে উল্লাসিত হয়, তেমনি অমরনায়কে দেখলে দুঃখী লোকেরা সুখী হয়, আর তাদের সাহস বাড়ে । অমরনাথের বাক্যtলাপ বসন্তের বাতাসের ন্যায় কি ধনী, কি দুঃখী সকলকেই সমভাবে পরিতৃপ্ত করে। র্তার এমনই একটি লোকাতীত অকপট ভাব আছে, যে র্তার কথা শুনৃলেই বোধ হয় যে একথা অস্তঃকরণের । যেমন কুঞ্জমোদ্যান হতে বাতাস বহন হলে তার সঙ্গে ফুলেব সৌরভ আসে, তেমনই অমরনাথের বাক্যের সঙ্গে তার মনের সত্য এবং সারল্যের অtভাস সম্মিলিত হয়ে আসে । ঘোষ । মহাশয় কি যথার্থই লক্ষ্য কোবে দেখেছেন ষে সকলেরই সঙ্গে সমান ? ধনী ব্যক্তি গেলে কিছুমাত্র অধিক হর্ষ প্রকাশ করেন না— অধিক ব্যস্ত সমস্ত হয়ে অভ্যর্থনা করেন না ? § ন্যায়। স্থা, দেখেছি তো বটে। দেখ বন কেন ? যদি কিছু তার তম্য থাকে তে। সে এই যে, নিঃস্ব ভদ্রলোককে সন্তোষ করবার নিমিত্তে বরং কিছু অধিক যত্নবান বোধ হয় । ঘোষ। ঐ ঐ ! এই নিমিত্তেই আমি জিজ্ঞাসা কোচ্ছিলেম। নিঃস্ব ভদ্রের প্রতি অধিক যত্ন তাব কারণ এই হলেও হোতে পারে যে, তার তেষামোদের দ্বারা ওঁর আত্মাভিমানের তৃপ্তি জন্মায়। আর ধনী ব্যক্তি হতে তো সেটি হয় না। রাধা । ( প্রতিবাসীব প্রতি ) এর কাছে কিছুতেই পাব পাবার যো নেই। দেবতাব প্রতি ভক্তি কোন্নে তো ভণ্ড, নকোলে তো খ্রীষ্টিয়ান । ন্যায় । সুদ্ধ অtলাপ যে তাতে না । অনেকেই সেইরূপ, যুদ্ধ মুমধুর বাক্য স্বারাই অপ্যায়িত করেন, কিন্তু কার্য্যের কথা উপস্থিত হলেই অমনি বোদা পুষ্কৰিণীর তলায় ঘা পড়ে। তখন যত কুভাব, আর ঘৃণিত কথা বেরুতে থাকে। যেন মনোহর ফুলেব ন্যায় চক্ষু এবং নাসিকার