পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8* * অমরনাথ । চারু । ( অস্ফুট স্বরে ) আহ ! সই! আহ, আমার জন্যে এত যাতন ! আহা, আমার প্রাণ কেমন কোচ্ছে—আমার কান্না পাচ্ছে । সুসার। কি করি ? চার পাঁচ দিন এই কথা উপস্থিত করবার জন্যে মতিবাবুর কাছে গেলেম, কিন্তু লজ্জায় পাল্লেম না । এখন তো প্রাণ যায়, হতাশ যেন আমার হৃদয়-কদর বায়ু হীন শূন্যময় কোরে ফেলেছে ; নিশ্বাস ত্যাগ কোর্তে গেলে বাতাসের জোর পাওয়া ষায় না । আর তে লজ্জার অনুরোধ রাখতে পারিনে। আমি এই নিশ্বাসে মতিবাবুর কাছে গিয়ে ঐ কথার সঙ্গে নিশ্বাস ছাড়ব । ( বেগে মালতী মঞ্চ হুইতে বাহির হইয়। চারু এবং নীলের সহিত সাক্ষাৎ, চারু এবং মুসাব পরস্পর ক্ষণকাল দৃষ্টি করণানন্তর চারু নীলের পশ্চাতে মুখ লুক্কায়িত করা, এবং সকলে নিস্তব্ধ ভাবে অবস্থিতি । ) চারু । সই! চল ভাই, বেলা হল । নীল । একি ঠাকুরপো ! কোথা এয়েছিলে, আর কোথাই বা যাচ্ছিলে ? সুসার। ছোট বউ ঠাকরুণ ! আt—ব ও কথা কেন জিজ্ঞাসা কোচ্ছেন ? আমার এখন উত্তর এই য়ে এয়েছিলেম মোত্তে, যাচ্ছিলেম যমেব বাড়ী। এখন সেইই আমার গতি—আমার উপায় আমার আশার শিখা অতি ক্ষুদ্র আর নীলবর্ণ হয়ে এতদিন তবু ছিল, কিন্তু এখন তাও একেবারে নিবৃলো—অীর আমার কিছুমাত্র অtশ নেই, যেখানে যাচ্ছিলেম সেখানেও অীর যাবার প্রয়োজন নেই ! ( চাদরের অঞ্চল চক্ষে চাপিযা অল্ফ ট স্বরে রেদিন) নীল । ও কি ? কঁাচ কি না? অমনি কেঁদে ফেলেচে । এখনও উভয়ের পরস্পর আলাপ হল না, আগেই অভিমানের বান ডাকল ? মনের তাবটা এই ষে তোমার জন্যে আমার এত ঘাতন । তা সে কথা বলবারই সময়