পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2ッ● অমবনাথ । পোষাক খুলিযা ফেলিয়া তন্নিয়ে বাঙ্গল পোষাক পরিধান অবস্থায় ) প্র্যেসি ! এই যে আমি ! (কমলবাসিনীর প্রতিমূর্ত্তি লইয়া দেশ পরিত্যাগ কালীনের ন্যায় অবস্থিতি ) তর্ক। (স্বগত) হা সর্ব্বনাশ! এই খাও গহনাটা ! আমি তখনই জানি যে আঁস্তাকুড়ে বছবাই গোলাব ছয় না । গোবর গাদায় স্বর্ণ শীব ? ষাড়ে । ( স্বগত ) ও বাপরে ! এ কি ? গেলেম যে একেবাবে । সকলে । ( সবিস্মযে সাছাদে ) এই ষে অমবনাথ বাৰু ! কমল । ( ফিরিয়া দেখিয়া বিদ্যুৎবেগে গিয়া অমবনাথের চরণ ধারণ) ও প্রাণেশ্ব-শ-শ-শ ( ক্রমে স্বব অল্ফ টু হইয স্পন্দ রহিত ও মৃচ্ছ। ) অমব । ( এককালীন ত্যক্ত লজ্জ হইয়া বাম জানুর উপবে কমল বাসিনীর মস্তক উঠাইয়া লইয়। ) আহা ! আহা ! এ কি হল । একেবাবে শ্বাস বহিত হয়ে গেলে যে ! প্রেয়সি ! তুমি কি এই সময় আমাকে বঞ্চিত কোল্লে ? আহ ! আমি বিদেশে গিয়ে তোমার বিচ্ছেদযাতনা সহ কোর্ভে ন পেরে এই ছদ্মবেশ ধোরে এসে নানা কৌশলে সকল সুবিধে কোল্লেম ; আর যার জন্যে এত কাণ্ড, সেই আমাকে বঞ্চনা কোলে ! এই সমুদ্র সেচন কোরে অমাব হারাণ রত্ন পেয়ে শেষ হস্ত হতে পতিত হয়ে একেবাবে চুর্ণ হল ! প্রেয়সি ! তুমি আমার প্রতিমূর্ত্তি লয়ে যে চিত। আবোহণ কোর্ত্তে, এখন তোমার মৃত শরীর লয়ে আমাকে কি সেই চিতা অtবোহণ কোর্ভে হলো ! অ প্রেয়সি ! তোমার মুখচন্ত্রিম মৃত্যু-রাহুতে গ্রাস কোরেছে, তবু মলিন হয়নি, তোমার গোলাব-গঞ্জিত গও এখনও যেমন তেমনিই আছে ! তোমার স্বাভাবিক ঈষৎ হাস্য ভাব এখনও তোমার অধরে বিরাজ কোচ্ছে। যেন আমি যে তোমাকে এত যন্ত্রণ দিইচি, তারই প্রতিফল তুমি আমাকে দিযে সেই আনন্দে হাস্য কে{—