অমর-ধাম । বাড়ীর বাজার কবিয়া ১৫° • টাকা বা অফিসে ১৫১ টাকার বিল সরকারি কপ্লিয়া বিশেষ একটা কিছু সুবিধার সস্তাবনা নাই। এই জন্য সে শ্বশুরবাড়ী যায় না । নিজের বাড়ীতেও যায় না । পিন্যার সঙ্গে দেখা করে না। পিতা পরিত্যাগ করিয়াছেন, তিনি কোন সংবাদ রাখেন না, সেও কোন সংবাদ রাখে না । কিন্তু বাপের জন্য, বিমাতার জন্য, ছোট ভাইদের জন্য, সময়ে সময়ে মনটা কেমন কেমন করে, ইচ্ছা হয়, ভাইগুলি আসুক, অন্ততঃ তাদের সঙ্গে মিলে মিশে বাড়ীর সম্বন্ধটা যতটা সম্ভব বজায় রাখে । কারামুক্ত হওয়ার পর, শ্যালক কার্ত্তিকচন্দ্র এক দিন আমরের বাবার সঙ্গে দেখা করিয়া কারামুক্তির সংবাদ দিয়াছিলেন । গোবিন্দ বাৰু অবিচলিত ভাবে সে সংবাদ শুনিয়া ঘলিয়াছিলেন, “বেশ ভালই হইয়াছে।” তাস্থার পর আবার দেখা করিয়া কার্ত্তিক বাবু বলিয়াছিলেন, “অমর এখন বেশ শান্তভাবে কাজ কর্ম্ম করিতেছে, দুই স্থানে চাকরি করে, ৩০,৩৫২ টাকা মাস মাস উপাৰ্জন করে।” শুনিয়া গোবিন্দ বাৰু বলিয়াছিলেন “আশীৰ্বাদ করি, সে সুখী হউক।” কিন্তু পুত্র ও পুত্রবিধূকে গৃহে আনিবার মত কোন প্রকার ভাব ভক্তি ইঙ্গিতেও প্রকাশ করেন না। অমর কুমার এ সকল সংবাদ অবগত আছে। সুতরাং বাড়ী যাইবার ইচ্ছা হইল, বলপূর্বক সে, সে ইচ্ছা দমন করে । এই ভাবে আরও কিছু দিন যায়, এমন সময়ে কার্ত্তিকচন্দ্রের "বিবাহের প্রস্তাব উপস্থিত হইল। গড়পারের ক্ষুদ্র গৃহের গৃহিণী আরও অধিক দিন পুত্রের বিবাহে বিলম্ব করিতে সন্মত নহেন। বিশেষতঃ একটি মনের মত মেয়ে পেয়েছেন, সেই জন্য আরও ব্যন্ত Sar