পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরি.ে啤 অনধিকৃত লক্ষ্মীর হৃদয়মন্দিয়ে মী যশোদার মেহের তরঙ্গ তুফান তুলিয়া লক্ষ্মীমাকে বাহ্যজ্ঞান বিশ্নহিত করিয়াছে, আত্মহারা লক্ষ্মীতে বখন মা যশোদার অপূর্ব্ব মুষ্টি ফুটিয়াউঠিয়াছে, ঠিক সেই সময়ে-সেই মধুময় মহামুহূর্বে অমর কুমার ক্ষতিরালয়ে আসিয়া উপস্থিত। বড় ঘরোয় মধ্যস্থলে বৃদ্ধার ক্রোঙ্কে’ শান্বিত শিশুর সম্মাদরে আত্মহারা লঙ্গীয় অপূর্ব মাতৃ-মুক্তি দর্শন কৱিৰা অষরকুমার মুগ্ধ, স্তম্ভিত ও নিশ্চল হইরা দণ্ডায়মান। এক বৎসরের পর আজ আম্রকুমার লক্ষ্মীকে নূতন বেশে, নূতন আকারে নুতন ভাবে, দেখিয়া স্পন্দরচিত। আর এক পা অগ্রসর হুইবার ইচ্ছা নাই, পাছে এ দৃশ্যসুখে বিঘ্ন ঘটে, পাছে। এ অনন্ত জগতের জমাট বাধা মাতৃভাব । দর্শনে বঞ্চিত হয়, এই ভরে অক্ষালয় অমরকুমার দূরে থাকিয়া লক্ষ্মীর রূপমাধুরী জড়িত অপুর্ব মেহের ক্ষরপ্রবাহে প্রেমের এক অনন্ত পারাবার অনুভব করিয়া রোমাঞ্চিত কলেবরে শিহরিয়া উঠিল, সঙ্গে সঙ্গে মুখে সে শিহরণ শব্দ প্রকাশ পাওয়াতে, শ্রত হইল। লক্ষ্মী শব্দ” শক্ষেতে বাহিরের দিকে তাকাইবা মাত্র চারি চক্ষে মিলন হইল । সে মিলনে লক্ষ্মী লজ্জিত, কুষ্ঠিত ও অবনত মস্তক, যেন রাহুগ্রস্ত পুর্ণচন্দ্রের ন্যায় মলিনভাবে ত্রিয়মাণ । অমরকুমার একটা অত্যাশ্চর্য্য ও অনির্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্য দর্শনে বঞ্চিত হইয়া নিতান্ত ক্ষুদ্রমনে গৃহ প্রবেশ করিয়া শ্বাশুড়ীয় সম্মুখে দাড়াইল, তাহার ক্রোতৃস্থ শিশু অমরকুমারকে দেখিয়া তা-তা-তা করিয়া ৰচি কোমল গোল গোল হাত দুখানি বাঙ্গাইরা দিল। অমর কুমায় নিন্ধপায় হইয়া হস্ত প্রসারণ করিতে না করিতে, শিশু কোলে