পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মর ধাম । . কলিকাতায় নাই। সৎ লেই সর্ব্বদা তাহাকে ‘মাই ডিয়ার” বলিয়া আদর করিয়া নিজেদের ভূঞ্চি ও তাহার গ্রীতি বৃদ্ধি করিয়া থাকেন । অমর কুমার ভদ্র সন্তান, দেখিতে সুপুরুষ নহে, কিন্তু কুৎসিত ও নহে। তাহার সুগঠিত সবল দেহ সর্ব্বদা কর্ম্মক্ষম ও সুস্থ । অসুখ কাহাকে বলে সে জানে না । অঙ্গভঙ্গী ও কথার ভামুৰ অন্যের নিকট প্রতিপদ, তাই সকলে, তাহাকে ভালবাসে। সে গৌৰবর্ণ নহে, কিন্তু তাই বলিয়া সে মসীবর্ণও নহে, সে তাহার সময়ের পরিচিতগণেব মধ্যে সিংহ সৌন্দর্ঘ্যে চারিদিক আলোকিত করিতে ন। পারিলেও, সে মিত্রপালের দলেও পড়ে না, তাহাতে এমন কিছু ছিল, যে তাহাকে দেখিলেই ভাল বাসিতে ইচ্ছা হইতে, তাহার সহিত পরিচিত হইলে, তাহাকে ছাড়া কঠিন হইত। তাহার সেই চলপ্তি রকমের দেহটী সাবণ্যে ঢলঢল করিত, তাহার পুর্ণপুষ্ট দেহের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ তাহার মুখমণ্ডল, আর সেই মুণের শোভা তাহার আকর্ণপ্রসারিত কমলসুন্দর লোচনদ্বয়ে প্রকাশ পাইত। সে প্রফুল্পমূথে হাসিতে হাসিতে যেদিকে তাকাইত, সে সেই দিকটাই জয় করত। অমর কুমারের পিতা গোবিন্দচন্দ্র বসু বিষয়ুবুদ্ধিসম্পন্ন লোক । বাড়ী হুগলি ফেলার অন্তৰ্গত সরস্বতী তীরের মালঞ্চ গ্রামে । সেখানে সেকালের মত কিছু বিস্তুসম্পত্তি ও একখানি পাকা দোমহল দোতলা বাড়ী আছে। অমর কুমারের মা প্রায় আঠার বৎসর পূর্ব্বে, ঐ শ্বশুরালয়ে, সুতিকাগারে, ঐ পুত্র প্রসাবান্তে, সংসার মুখে 歌