পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ *द्भिष् । আপনার কাজে লাগিবে, এই বিশ্বাসে ও আশায়, আমার প্রাপ্ত অর্থের সর্ব্বপ্রথম একাংশ প্রণামীস্বরূপ আপনার শ্রীচরণে নিবেদিত হইল । অনুগ্রহ করিয়া গ্রহণ করিবেন, এবং ইহা নিজের "মুর্থ মনে করিয়া আমার পিতৃ-সেবায় ব্যয় করিবেন। প্রণত সেবক শ্রীঅমীরকুমার।” পত্রপাঠ করিতে করিতে গোবিন্দ বাবুর মুখমণ্ডল গম্ভীর ভাব ধারণ করিল, পুত্রে এতাদৃশ শিশুযোগ্য সরলভােব অনুভব ও সম্ভোগ করিতে করিতে র্তাহার হৃদয় আদ্র হইল। আমরকুমারের মায়েব স্মৃতি, ভগ্নী শুষ্ঠামাসুন্দরীর স্মৃতি, অমরকুমাপুকে শাসনে রাখিবার জন্ত৷ বর্ত্তমান গৃহিণীর প্রাথমিক যন্ত্র চেষ্টার পরিমাণের স্মৃতি ইত্যাদি একত্র মিলিত হইয়া তাঁহাকে অভিভূত করিল, সঙ্গে সঙ্গে জ্যেষ্ঠ পুত্রে এতাদৃশ পরিবর্তন তাহার হৃদয় মনকে অভিভূত করিল। পত্রখানির কয়েক ছাত্র লেখা, ঠাঙ্গার স্ববশে সুরক্ষিত হ্রদদায়ের আবেগ বৃদ্ধি করায়, বুদ্ধের চক্ষে জলধারা প্রবাহিত হইল । খৃষ্টণী এই রুগ্ন শরীরে এইরূপ একটা মানসিক উত্তেজনার ভয়েই, পত্রখানি এ সময়ে তাহার হাতে দিতে ইতস্ততঃ করিতেছিলেন । এখন গোবিন্দ বাবুর হৃদয়ের দীর্ঘকালব্যাপী রুদ্ধভােব প্রবল আকার ধারণা করিয়া, ঠাঁহাকে রোগ শব্যায় উন্মত্তের ন্যায় ব্যাকুল করিয়া তুলিল, এ সমৃত্বে তিনি আমরকুমারকে সম্মুখে পাইলে, একবার বক্ষে ধারণ করিয়া হৃদয় জুড়াইতে, অন্তরে তৃপ্তিলাভ করিতে ও সঙ্গে সঙ্গে রোগী যন্ত্রণায় শান্তি ও সাস্থান লাভ করিতে পারিতেন। আর সেই সঙ্গে অমরকুমারের পরবত্তী জীবনের গতি ও চিরতরে ফিরাইবার পক্ষে একটা! বৃহৎ সুযোগও লাভ করিতেন। কিন্তু সংসারে সকল ঘটনা সকল সময়ে মানুষের R