পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभी-*भि । করিতে বলায়, তিনি বলিলেন, “আমরা আপনার পুত্র, তাহার কাজের একটা ধারা ও রীতি পদ্ধতি আছে, সে বিষয়ও আপনার বুঝিতে বাকি নাই । সে এই দীর্ঘ পাঁচ বৎসর অপেক্ষা করিয়া, নিজের ছেলেটিকে সেখানে রাখিয়া অবশ্যই একটা স্থির সিদ্ধান্তের পথে অগ্রসর হইয়াছে, তাহাকে সে পথ হইতে ফিরাইবে কে ?” গোবিন্দ বাবু বলিলেন “তবে কি আমার এ মর্ম্মবেদন কেহ বুঝিবে না ?” ক্রমে গোবিন্দ বাবু অমরকুমারের কর্ম্মোন্নতি, অসঙ্গত সৌভাগ্যেয় অভু্যদয়, বাড়ী ঘর করা, সে বাড়ী ঘরের নির্ম্মাণ কৌশল, সে সকলের পরিপাটী ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে, পুত্রের কর্ম্মনৈপুণ্য অনুভব করিতেছেন, আর এমন ছেলেটা ঠাঁহার উপদেশ ও আদেশের বাহিরে গিয়া পড়িবে, এই চিন্তা তাহার অসহ্য হইয়া উঠিতেছে। নিদারুণ মর্ম্মবেদনায় গোবিন্দ বাবু একবারে ভাঙ্গিয়া পড়িলেন। গোবিন্দ বাবুপুত্রের জন্য, তাহার বিধবাবিবাহ নিবারণ জন্য, তাহাকে পরিজনবর্গের সম্পূর্ণ বশে রাখার জন্য, যতই ব্যাকুল হইতেছেন, ততই পুত্রের বিবিধ গুণমণ্ডিত প্রবল শক্তি ও উচ্চ সামর্থের চিত্র তঁহার নয়নসমীপে উজ্জ্বল আকারে প্রতিভাত হইতেছে। গোবিন্দ বাবু যখন একবারে নিরুপায় ও বন্ধুবর্জিত হইয়া নিজের ভীষণ একাকীত্বের আক্রমণে বিদ্ধস্ত, ঠিক সেই সময়ে, জ্যেষ্ঠ শ্যােলঞ্চপুত্র দেবেন্দ্রনাথ দেখা করিতে আসিলেন । এই দেবেন্দ্র নাথকে গোবিন্দ বাবু একদিন তীব্র তিরস্কারে স্থানত্যাগ করিতে আদেশ দিযাছিলেন। আজ সেই দেবেন্দ্রের আগমনও মিষ্ট-মধুর বলিয়া অনুভব করিলেন, এবৎ ঈষৎ আনন্দ প্রকাশের ভাবে Ra