পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 অমর প্রেম। বেতন হইল কিন্তু মাসিক ত্রিশটি টাকা। তাহার দাদা বলিল—হতভাগাটা যদি আমাদের অফিসে সে চাকরিটা লইত তাহা হইলে আজ ৫০ টাকা মাহিনা হইত। এখন তাে সেই ৩০ টাকা ভাল লাগিল। শুনিয়া মনােহর চুপ করিয়া রহিল। মাস দুয়েক সংসারে একটু শান্তি রহিল। এই সময়ে সুহাসিনী আর একটি কন্যা প্রসব করিয়া গােলযােগ আবার বাড়াইল। সঙ্গে সঙ্গে মনােহরের কিছু বেতন বাড়িলে বােধ হয় গােলযােগ তত হইত না। কিন্তু তাহা না হওয়ায় গােলযােগ ক্রমশঃ বাড়িয়াই চলিল। শেষে দুই ভাইয়ে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ হইয়াই আসিল— যদিও তাহার চতুগুন কথাবার্তা দুই ভ্রাতার স্ত্রীর মধ্যে আদান প্রদান হইতে লাগিল। ক্রমশঃ শান্তিপ্রিয় সুহাসিনী কলহ-নিপুণা হইয়া উঠিতে লাগিল। দেখিয়া শুনিয়া মনােহর বড়ই ব্যথিত হইত। স্ত্রীকে কিছু অনুযােগ করিতে গেলে সে বলিত, তুমি মাহিনা কম পাও বলিয়া ত আমি গতর দিয়া পােষাইয়া দিতেছি। ঝি বামুনের কাজ একাই করিতেছি। তবুও যদি দিনরাত্রি বাক্যযন্ত্রণা সহিতে হয় তাে মানুষ কত সহিতে পারে! এক রাত্রে সুহাসিনী সানেত্রে বলিল, তুমি বিদেশে একটা ২৫ টাকার চাকরি যােগাড় করিয়া আমাকে লইয়া চল—আমি মেয়েদের ভাতের মাড় খাওয়াইয়া নিজে এক বেলা খাইয়া থাকিব, সেও আমার ভাল ; তােমার দুই পায়ে পড়ি। এই সময়ে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে মনােহর সুবাসপুর হাই তুলে দ্বিতীয় শিক্ষকের পদ যােগাড় করিয়া লইল ও সপরিবারে মেনে চলিয়া গেল। সে আজ ১২১৩ বৎসরের কথা। সুবাসপুরে