পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। । অমর প্রেম বসিয়া থাকে যে, কখন ঘণ্টা বাজিয়া উঠিবে—কেরাণীদের কোন কাজের জন্য কাছে ডাকিলে তাহারা তটস্থ হইয়া সম্মুখে বাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া শীতের দিনেও ঘামিতে থাকে, ইহা চন্দ্রনাথ বাবুর আফিসের মধ্যে না থাকিলে কাহারও বুঝিবার সাধ্য হইত না। বাড়ীতে তিনি সাত্ত্বিক প্রকৃতির ব্রাহ্মণ, অতি উচ্চ বংশ। নৈক্য কুলীন। বংশমর্যাদা একটু রাখিয়া চলেন। তিনটি মেয়ের বিবাহ ঠিক পাটা ঘরে দিয়াছেন। ছেলেও তিনটি। অমরই বড় ছেলে-বৎসর কুড়ি বয়স। প্রেসিডেন্সি কলেজে বি-এ পড়িতেছিল—এইবার বি-এ পরীক্ষা দিয়া আসিয়াছে। অমরেব বড় একটি বােন্। তারপর এক ভাই সমর, সে এখনও স্কুলে পড়ে। বয়স দশ বৎসর। অমর খুব মেধাবী ছাত্র, মেট্রিকুলেশনে বৃত্তি লইয়া পাশ করে। আই, এতেও বৃত্তি পায়। কলিকাতায় পড়িবার সময় হইতে চােধ বা সপরিবারে কলিকাতায় বাসা করিলেন। কয়েক বৎসর কলিকাতায় থাকিবার পর আবার তাঁহাদের কিছুদিন দেশে থাকিবার সাধ হওয়ায় বিলইয়া দেশে ফিরিয়াছেন। মনােহরকে আগাইয়া দিয়া অমর বাড়ীর ভিতর গিয়া দেখিল তাহার পিতা উঠিয়াছেন। হাত মুখ ধধায়াও হইয়া গিয়াছে। তিনি আঙ্গিকে বিসিয়াছেন। উনানে চায়ের জল চড়িয়াছে।। | পিতার আহ্নিক শেষ হইলে অমর বলিল—বাবা, আজ আপনি এই মধ্যে উঠে হাত মুখ ধুয়েছেন—আমি ত জাতেই পারিনি। মাষ্টার মহাশয় মনােহর বাৰু এসেছিলেন, আপনার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। আমি ম বাবার শরীর খারাপ বলে আজকাল উতে একটু দেরী ।